মাধবপুর থানার এস আই দ্বীন মোহাম্মদ ও এ এসআই আঃ হাকিমের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে সচেতন মহলে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। একটি স্বার্থান্বেষীমহল দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মাধবপুর থানা থেকে সরাতে পরিকল্পিত ঘটনা সৃজন করেছে বলে নানা মহল থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। একাধিক নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে, মাধবপুর থানার এস আই দ্বীন মোহাম্মদ ও এ এসআই আঃ হাকিম মাধবপুর থানায় যোগদানের পর অস্ত্র চোরাচালান ও সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেন। নোয়াপাড়ায় অজ্ঞাত বাবুল হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনসহ একাধিক মামলা কৃতিত্বের সাথে তদন্ত করে আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এছাড়া সম্প্রতি মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজারে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সহিংসতার ঘটনায় মাধবপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা হলে এস আই দ্বীন মোহাম্মদ ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হওয়ার পর জামাত শিবির সমর্থিত কতিপয় লোক জগদীশপুর বাজারের এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে অভিযোগ তুলে ওই ব্যবসায়ীর সাথে বিভিন্ন অশোভনীয় আচরণ করেছে। জগদীশপুর বাজারের ব্যবসায়ী জানান, দুই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তার কোন ঝামেলার সৃষ্টি হয়নি। একটি মহল তার উপর ভর করে ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ তুলেছে। ব্যবসায়ীর ধারনা ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের পূর্ব কোন বিরোধ ছিল। তাই কল্পিত অভিযোগ এনে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করছে। মাধবপুর উপজেলার শাহ বশির নামে এক আওয়ামীলীগ নেতা জানান, দুই পুলিশ কর্মকর্তা সন্ত্রাস মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদ এবং মাদকের বিরুদ্ধে খুবই সক্রিয় ছিলেন। সম্প্রতি কিছু চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও তদন্ত করায় ওই চক্রটি ইচ্ছাকৃত ভাবে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদ প্রচার করেছে। নোয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, এস আই দ্বীন মোহাম্মদ একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। নোয়াপাড়া বাজারের নিহত বাবুল পরিবারকে একাধিকবার আর্থিক সহায়তা করেছেন। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, এখন প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এস আই দ্বীন মোহাম্মদ কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার। জগদীশপুর বাজারে ব্যবসায়ীর সঙ্গে কোন ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততার নেই বলে জানা যায়।