ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন লাখাই উপজেলার কামালপুর গ্রামের মাদ্রাসার ছাত্র মোনায়েল আহমেদ ইমরান। সে ওই গ্রামের সোয়াব মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় জিরুন্ডা মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত ২১ জুলাই এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার লাখাই ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের সোয়াব মিয়া স্ত্রীসহ ঢাকায় বসবাস করে হাড়ি-পাতিলের ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি সেখানে বেড়াতে যায় তার ছেলে স্থানীয় জিরুন্ডা মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্র মোনায়েল আহমেদ ইমরান। গত ২১ জুলাই ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে সে গুলিবিদ্ধ হয়। এতে আশঙ্কাজনক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পরে তার পরিবারের লোকজন ২২ জুলাই লাখাইর পাশ^বর্তী নাসিরনগর উপজেলার রামপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর মিয়া বলেন, ‘ঢাকায় তার পিতা হাড়ি-পাতিলের ব্যবসা করার সুবাধে সেখানে বেড়াতে যায় জিরুন্ডা মাদ্রাসার ছাত্র ইমরান। এতে আন্দোলন চলাকালে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে শুনেছি। পরে নাসির নগরের রামপুরে তাকে দাফন করা হয়েছে’।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘পত্রিকায় তার ছবি প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমরা অবগত হই। পরে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, সে ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। পরিবারের লোকজন তার লাশ দাফন করেছেন বলে জানিয়েছেন’।