কমিউনিটি নেতাকে দেখে নেয়ার হুমকি ইউপি চেয়ারম্যান ধন মিয়ার
তারিখ: ২-অগাস্ট-২০২৪
বানিয়াচং প্রতিনিধি \

বানিয়াচং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। এ নিয়ে হিন্দু কমউিনিটিতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ ঘটনা ঘটেছে।  
সূত্র জানায়, সভা চলাকালে কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দাস তার বক্তব্যে বলেন, মহারতœপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন দেবকে উড়ো চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করা হলে ওই শিক্ষক থানায় জিডি করেন। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি। তার বক্তব্য শেষ না হতেই বানিয়াচং ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া দাঁড়িয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন থাম মিঞা, শিক্ষক অঞ্জন একজন শিশু ধর্ষণকারী ও স্কুলে ১০ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেছে। এ বিষয়ে পত্রিকায় খবরও প্রকাশিত হয়েছে, তাই দুষ্টু লোকের পক্ষে সাফাই করা বাদ দেন। এ সময় কমিটির অপর সদস্য ও উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারী স্মৃতি চ্যাটার্জি কাজল চেয়ারম্যানকে একজন সুনামধন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন বক্তব্যে প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান ধন মিয়া কাজলকে গালমন্দ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে কাজলকে বের হওয়ার আহবান জানান এবং সভা থেকে বের হলে দেখে নেয়ার  হুমকি দেন। এ সময় উপস্থিত অন্যান্য সদস্যরা চেয়ারম্যান ধন মিয়ার উদ্ভট আচরণে উষ্মা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে স্মৃতি চ্যাটার্জি কাজল বলেন, ‘চেয়ারম্যান ধন মিয়ার আচরণে আমিসহ অনেকেই মর্মাহত। তবে হবিগঞ্জ-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল তাৎক্ষনিক বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ায় আমি মামলার দিকে এগুচ্ছি না। 
চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া বলেন, ‘সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছে আবার বিষয়টি মিটমাটও হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাংসদ অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, সভায় নিজেদের মধ্যে কিছুটা বাকবিতন্ডা হয়েছে এরচেয়ে বেশি কিছু নয়।
উল্লেখ্য ইউপি চেয়ারম্যান ধন মিয়া তার এলাকার পঞ্চায়েতের সম্পত্তি নিয়ে ইতিপূর্বে সংঘর্ষে তার বন্দুক দিয়ে নিরীহ মানুষকে গুলি করে আহত করেন, এমন কি তার ছুড়া গুলিতে অনেকের চোখ পর্যন্ত হারিয়েছেন। কোনো বিশেষ অভিযান হলে তাকে গ্রেফতারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হন্যে হয়ে খোজেন বলে এলাকাবাসী জানান।