মাধবপুর উপজেলা শাহজিবাজারে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের দায়ের করা মামলায় নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেলকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এতে ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামী করায় তার সহযোগী চেয়ারম্যানরা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করার দাবী করেছেন। গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান মামলা প্রত্যাহার চেয়ে বক্তব্য রাখেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৯ জুলাই কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় উপজেলার শাহজিবাজার দরগাহ গেইটে লোকজন জড়ো হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় মাধবপুর থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়। এতে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেলকে প্রধান আসামী করে মামলা করে। বুধবার (৩১ জুলাই) মাধবপুর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা সভা শুরু হলে চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান সোহাগ বক্তব্যে বলেন, ‘ ঘটনার দিন আন্দোলনের সময় নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেল ঘটনাস্থলে ছিলেন না। নিরপেক্ষ তদন্ত করে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি করেন তিনি। বহরা ইউ/পি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘নিরপেক্ষ তদন্ত করে সে জড়িত হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিক, অন্যতায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হউক। অযথা একজন নিদোর্ষ জনপ্রতিনিধিকে যাতে হয়রানী না করা হয়’।
বুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ আতাউল মোস্তফা সোহেল ১৯ জুলাই ঘটনার সময়ে আমাদের পারিবারিক একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি তার বিরুদ্ধে অযথা হয়রানীমলূক মামলা যা তদন্তপূর্বক প্রত্যাহার করা হউক।
শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসাবে এমন মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা যা আমাদের জন্যে লজ্জাকর। নিরপেক্ষ তদন্ত করে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হউক’।
মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আতিকুর রহমান বলেন, ‘মামলার তদন্তে স্বাক্ষ্য প্রমানে যাদের জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া যাবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে। অহেতুক কাউকে হয়রানী করার পুলিশের কোন উদ্দেশ্য নেই।
এছাড়া উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম ফয়সাল বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।