পুটিজুরীতে আক্রোশের জেরে ৫ শতাধিক কাঠাঁল গাছের চারা কর্তন \ থানায় মামলা
তারিখ: ১৮-জুন-২০২৫
বাহুবল প্রতিনিধি \

বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের শাহ আহমেদুর রহমান সুফির মালিকাধীন বৃন্দার মৌজায় রয়েছে বিশাল রাবার বাগান। আহমেদুর রহমান সুফি দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ স্বপরিবারে লন্ডনে বসবাস করে আসছেন। বছরে দুয়েক বার দেশে এসে কিছুদিন অবস্থান করে আবারো চলে যান। বাগানসহ তার সহায় সম্পত্তি যুগ যুগ ধরে কেয়ার টেকার দ্বারা পরিচালনা করে আসেন। এই রাবার বাগানের পাশাপাশি মূল্যবান গাছপালাও রয়েছে। কিন্তু মূল মালিকের অনুপস্থিতির সুযোগে স্থানীয় কতিপয় দুষ্ট প্রকৃতির লোক বাগান থেকে রাবার গাছসহ মূল্যবান কাঠ জাতীয় গাছপালা কখনো চুরি করে কখনো প্রকাশ্যেই জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠে একটি মহলের প্রতি। সম্প্রতি শাহ আহমেদুর রহমান সুফি দেশে আসার পর তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে প্রতিকারের উদ্যোগ নেন। দ্বারস্থ হন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে। বিষয়টি একটু নড়েচড়ে উঠলে গত ১৫ জুন সকাল ১০ টারদিকে সম্পূর্ণ আক্রোশের জের ধরে প্রকাশ্যে দিবালোকে বাগান পাহারাদার আকল মিয়াকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দা, করাত, কুড়াল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে বাগানে প্রবেশ করে উপর্যুপরি বাগানের একাংশে সদ্য রোপনকৃত উন্নত জাতের প্রায় ৫শতাধিক কাঠাঁল গাছের চারা কর্তন ও উপড়িয়ে ক্ষতি সাধন করে স্থানীয় দুষ্টচক্র। এসময় বাগান পাহারাদার মিরেরপাড়া গ্রামের আয়মন আলীর পুত্র আকল মিয়া এতে বাধা দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওইদিনই বাহুবল মডেল থানায় অভিযোগ দেন শাহ আহমেদুর রহমান সুফি। অজ্ঞাতসহ উল্লেখিত আসামীরা হলেন স্থানীয় মিরেরপাড়া গ্রামের আয়মন মিয়া, কবির আলী, আজমান উল্লা, রফিক উল্লা, মিজানুর রহমান। অভিযোগের পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জানতে চাইলে, বাহুবল মডেল থানার ওসি তদন্ত সুকন্ত চৌধুরী বলেন-এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে আসামীদের অত্যাচার নির্যাতন ও লুটপাটের দায়ে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন শাহ আহমেদুর রহমান সুফির পরিবার।