কিট সংকট, পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে!
তারিখ: ১৮-জুন-২০২৫
আখলাছ আহমেদ প্রিয় \

সাধারণ রোগীদের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে। এতে করে রোগীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। অনেক রোগী উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও মিলছে সেবা। সাধারণত করোনা পরীক্ষার কীট সংকট ও পরীক্ষার সরঞ্জাম না থাকায় সদর হাসপাতালে এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, সদর হাসপাতালে আইসিও না থাকায় জটিল রোগীদের সিলেট এবং ঢাকায় প্রেরণ করা ছাড়া উপায় নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। 
২০২০ সালের ২০ মে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুমোদন হলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। মেশিন না আসায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 
চিকিৎসকদের মতে, হাসপাতালে এখনো রোগী আসছে না। কিন্তু রোগী এলেও পরীক্ষার তো ব্যবস্থা নেই। হয়তো এটা জেনেই এখানে কেউ আসে না। তবে রোগীরা আসলে তাদেরকে স্বাস্থ্য সম্মত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। প্রয়োজনে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করা হবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 
এদিকে, পর্যাপ্ত পরিমাণে কীটের চাহিদা থাকলেও হাসপাতালে বরাদ্দ থাকা কীটের সংখ্যা মাত্র ২৫০। যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। এছড়া শুধু মাত্র অক্সিেেজন ছাড়া অন্যান্য সরঞ্জামেও রয়েছে ঘাটতি। ইতিমধ্যে কীটসহ সরঞ্জামের চাহিদাপত্র তৈরী করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। 
মঙ্গলবার হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কীট পাওয়া যায়নি। যে গুলো রয়েছে তাও স্বল্প। করোনার যেসব সরঞ্জাম রয়েছে সেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায়। আসলে করোনা প্রতিরোধ-সংক্রান্ত তৎপরতা প্রায় নেই বললেই চলে। করোনা প্রতিরোধে যে প্রস্তুতি দরকার। কিন্তু এখনো এ নিয়ে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি হাসপাতালে।
হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডাঃ আমিনুল হক সরকার বলেন, ‘কীটের চাহিদা থাকলেও হাসপাতালে বরাদ্দ থাকা কীটের সংখ্যা মাত্র ২৫০। যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। এছড়া শুধু মাত্র অক্সিেেজন ছাড়া অন্যান্য সরঞ্জামেও রয়েছে ঘাটতি। ইতিমধ্যে কীটসহ সরঞ্জামের চাহিদাপত্র তৈরী করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। হাসপাতালে এখনোর করোনায় আক্রান্ত রোগীরা আসেননি’।