বানিয়াচং উপজেলা কৃষি উপসহকারী আবু হাশেম রাফে চেক ডিজঅনার মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়েও পুলিশের নাকের ডগায় বসে নিয়মিত অফিস করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালত থেকে সাজা পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ থাকে কেন গ্রেফতার করছে না, এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। জানা যায়, সদর উপজেলার সোয়ারগাঁও গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ শেখ ফরিদ এর সাথে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া হওয়ার সুবাদে সম্পর্ক গড়ে উঠে বানিয়াচং উপজেলার দেওয়ান দীঘির পূর্বপাড় এলাকার বাসিন্দা আবু হাশেম রাফের। একপর্যায়ে আবু হাশেম রাফে তার জরুরি প্রয়োজনে কর্জ বাবত শেখ ফরিদ এর কাছ থেকে ২২ সনের ২১ নভেম্বর ৫ লক্ষ ৫০ হাজার, ২৮ নভেম্বর ৭ লক্ষ, ৬ ডিসেম্বর ৫ লক্ষ টাকা তিন ধাপে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে টাকা নেন। পরবর্তীতে ওই টাকা প্রেরত চাইলে রাফে নানান টালবাহানা শুরু করেন। বার বার চেষ্টা করেও টাকা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে শেখ ফরিদ ২০২৩ ইং সনের ৫ এপ্রিল, হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালত -০১ এ আবু হাশেম রাফেকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরবর্তীতে বিচারের জন্য জেলা যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আদালতে বদলি করা হয়। দীর্ঘদিন চলার পর ২০২৪ ইং সনের ১০ সেপ্টেম্বর জেলা যুগ্ন দায়রা জজ, ১ম আদালত, হবিগঞ্জ, এর বিচারক মিথিলা ইসলাম, রায় প্রদান করেন। রায়ে আবু হাশেম রাফে কে ১ বছর সশ্রম কারাদÐ ও ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অর্থদÐ করা হয়। আসামি অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। এদিকে গ্রেফতারী পরোয়ানার ১১ মাস পেড়িয়ে গেলেও বানিয়াচং থানা পুলিশ আবু হাশেম রাফে কে গ্রেফতার করতে পারেনি।
একটি সূত্র জানায়, আবু হাশেম রাফে বানিয়াচং উপজেলা কৃষি উপসহকারী অফিসার পরিচয় দিয়ে সাজা পরোয়ানা নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছেন, এমনকি অফিসও করছেন প্রতিদিন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, আবু হাশেম রাফে, শুধু শেখ ফরিদ না, বেশ কয়েকজন লোকের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। তার বিরুদ্ধে প্রশাসন যেন দ্রæত ব্যবস্থা নেন সাধারণ মানুষের দাবি।