ক্ষমতার মোহে আওয়ামীলীগ গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে
তারিখ: ১৭-নভেম্বর-২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- ক্ষমতার মোহে আওয়ামীলীগ গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল, নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেই ক্ষমতায় থেকে যাবে। কিন্তু ২ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেও আওয়ামীলীগের শেষ রক্ষা হয়নি। সারা বাংলাদেশে মানুষ যখন রাস্তায় নেমে আসলো তখন জনরোষ থেকে বাঁচতে আওয়ামীলীগ দেশ ছেড়ে পালাতে বাঁধ্য হয়েছে। আওয়ামীলীগের দম্ভ মহান আল্লাহ মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছেন। আওয়ামীলীগের মধ্যে এতটা দম্ভ তৈরী হয়েছিল, কখন যে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তা বুঝতেই পারে নাই। তিনি গতকাল রবিবার বিকালে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ১০নং লস্করপুর ইউনিয়নের ২ ও ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- বিএনপি আর দুনীতি এক সাথে চলতে পারবে না। কোনো অন্যায়কারী, দুর্নীতিবাজের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক থাকবে না। আমি ৩ বার হবিগঞ্জ পৌরসভায় মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি, প্রায় ২শ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি, আওয়ামীলীগ আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়েছে, কিন্তু কোনো দুর্নীতির মামলা দিতে পারে নাই। কারন কোনো দুর্নীতি আমাকে স্পর্শ করতে পারে নাই। ভবিষ্যতেও দুর্নীতি আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না, কাউকে দুর্নীতি করতেও দিব না।
তিনি বলেন- আওয়ামীলীগ চেয়েছিল জোর করে সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে, জনগণের সম্পদ লুটেপুটে খাবে, ভিন্ন মতের মানুষকে ইচ্ছা করলেই জেলে পাঠাতো, ইচ্ছা করলেই গুম করতো, হত্যা করতো। তাদের নির্যাতনে গত ১৭ বছর অনেক মা তার সন্তান হারিয়েছে, অনেক স্ত্রী তার স্বামী হারিয়েছে, অনেক বোন তার ভাই হারিয়েছে, অনেক সন্তান তার পিতা হারিয়েছে, অনেক পিতা তার সন্তান হারিয়েছে, এর জন্য দায়ী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামীলীগ।
জি কে গউছ বলেন- আওয়ামীলীগের ভয়ে মানুষ ঘরে ঘুমানোর সাহস হারিয়ে ফেলেছিল। আওয়ামীলীগের নির্যাতনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। আওয়ামীলীগের নিকট কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ ছিল না। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ আওয়ামীলীগের দ্বারা অপমানিত হয়েছে, অপদস্ত হয়েছে। আওয়ামীলীগ জাতির সাথে তামাশা করেছে, দেশের মানুষকে অবজ্ঞা করেছে, মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছে। আওয়ামীলীগ মানুষকে মানুষ মনে করেনি। সেই আওয়ামীলীগের লোকজন এখন হাটে ঘাটে, মসজিদ মন্দিরে কোথাও দাঁড়িয়ে কেউ বলতে পারে না আমি আওয়ামীলীগ করি।
তিনি বলেন- আমার ভোট আমি দিব, তোমার ভোটও আমি দিব, এটাই ছিল আওয়ামীলীগের রাজনীতি। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব, লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব। বিএনপি শুধু বিএনপির জন্য রাজনীতি করে না। বিএনপি রাজনীতি করে মানুষের জন্য, দেশের জন্য।
জি কে গউছ বলেন- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মাদকমুক্ত দেশ গড়বে। দেশের বেকার যুবকদের চাকুরীর ব্যবস্থা করবে। কর্মস্থানের মাধ্যমে যুবকদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের কাদে চাপিয়ে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের যুব সমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখা সম্ভব হবে।
পীরজাদা  সৈয়দ  ফজলে এলাহী শামছুদ্দুহা’র সভাপতিত্বে এবং মোঃ আলমগীর হোসাইন জুমন ও আরিফুল ইসলাম আরজতের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইসলাম তরফদার তনু, হাজী এনামুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, সাধারণ সম্পাদক সামসুল ইসলাম মতিন, সিনিয়র সহ সভাপতি আজম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মানিক, জেলা বিএনপি নেতা মহিবুর রহমান শাহিন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা সেচ্চাসেবক দলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, ১০নং লস্করপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ফরিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জালাল, এডভোকেট মইনুল হাসান দুলাল, বিশিষ্ট মুরুব্বী কাচন আলী, তাজউদ্দীন, মতিন মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম টেইলার, ফজলু মিয়া, আসাদ আলী, আছন আলী, জাহির মিয়া, সেলিম মিয়া, জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপিটর সাধারণ সম্পাদক মজনু তালুকদার, লস্করপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ প্রমুখ।