স্টাফ রিপোর্টার ॥
হবিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- যুব সমাজকে দুরে রেখে একটি দেশ কাঙ্খিত লক্ষে পৌছতে পারে না। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে হলে যুব সমাজকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান বলেছেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এক বছরের মধ্যে ১ কোটি বেকার যুবকের চাকুরীর ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৭নং নুরপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মায়েদের সম্মানে ফ্যামিলী কার্ড চালু করবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি দেশের নারী উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেন। খালেদা জিয়া মার্তৃত্বকালিন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, নারীদের বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা ও উপবৃত্তি চালু করেছিলেন। খালেদা জিয়ার শাসন আমলে নারীর শিক্ষা, নারীদের কর্মসংস্থান, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে অংশ গ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিয়ে দলটির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। তিনি নারীর অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় বেশ কিছু অঙ্গীকার করেছেন। তার মধ্যে ফ্যামিলি কার্ড, এসএমই ঋণ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, রাজনীতি ও নীতি নির্ধারণ, মর্যাদা ও নিরাপত্তা এবং সামাজিক কল্যাণ। বিএনপির ৩১ দফায় তিনি নারী অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার উপর ব্যাপক জোর দিয়েছেন।
জি কে গউছ বলেন- আওয়ামীলীগ ভেবেছিল মামলা হামলা করে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে সারাজীবন আমাদের কাঁধে বসে থাকবে। আওয়ামীলীগ পাখির মত গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে, গুম করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে, জেলে পাঠিয়েছে, লাশ পর্যন্ত গায়েব করেছে, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আওয়ামীলীগ জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়েছে, কিন্তু শেষ পরিণতি ভাল হয়নি। ভবিষ্যতেও যারা এই পথে হাটার চেষ্টা করবে তাদের পরিণতিও ভাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আওয়ামীলীগের পতন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
তিনি বলেন- বিএনপি মানুষকে ভালবাসে। তাই মানুষ অসন্তোষ্ট হয়, মানুষ কষ্ট পায়, মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এমন কাজ বিএনপি করে না। বিএনপির রাজনীতিই হচ্ছে মানুষের জন্য, দেশের জন্য।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ আরব আলীর সভাপতিত্বে এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম সাইফ, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি হাজী সিরাজুল ইসলাম ধন মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম ফারুক ও নুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর গফুর ছোট মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, সাবেক আহবায়ক সলিম উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল করিম, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, সহ সভাপতি নিজাম উদ্দিন বেলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন, নুরুল ইসলাম এংরাজ, আছকির মিয়া, সাইফুল ইসলাম রানা, হাসানুল হক ইনু, দিলাল সরদার, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাকিবুল হোসেন সান্টু, সফিক মিয়া, ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, ডাক্তার নজরুল ইসলাম মাষ্টার, মাষ্টার নজরুল ইসলাম, মাষ্টার হিরন মিয়া, মাষ্টার আব্দুর রহিম, মাষ্টার মহিদ রানা, মাষ্টার শাহিন আহমেদ, মাষ্টার আব্দুল মতিন, আক্কল আলী, আমিনুর ইসলাম, ইমাম উদ্দিন, বিলাল মিয়া, আব্দুল আউয়াল, আব্দুর রহিম, মিজানুর রহমান, রবিউল আউয়াল লকোজ, আছাদ মিয়া, আমিনুল হক সুমন, শাহীন আহমেদ, আকবর হোসেন, ফারুক মিয়া, রেনু মিয়া, মাসুক মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, শাহ জাহান জিতু মেম্বার, বুলবুল আহমেদ, নাছির উদ্দিন তালুকদার, আরিফ হোসেন খোকন, রাসেল মিয়া, কামরুল হোসেন, ফজল সরদার, আজদু, বাবুল মিয়া, সেলিম মিয়া, মিয়া, রিজন মিয়া, সোহেল মিয়া, আব্দুল হালীম, ইউনুস মিয়া, যুব দল নেতা, নাছির হোসাইন, সোহেল রানা,র রুস্তম মিয়া, শরীফ উদ্দিন, বুলবুল মিয়া, রাজিব আহমেদ, লিটন মিয়া, ইমন মিয়া, মেরাজ মিয়া, আহাদ মিয়া, আহমদুল হক মরন, রাজন মিয়া, আলমগীর হোসেন, মাসুম মিয়া, বিলাল মিয়া, সাকিব আল হাসান এমরান, ছাত্র নেতা এম এ মান্নান বকুল, রুপন আহমেদ, আলী আশরাফ সাদি, রবিন, মাসুম, পাবেল, মিজান, শরীফ, তানবির প্রমুখ।