হবিগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উপস্থিত না থাকায় ছাত্রাবাস থেকে তুলে নিয়ে বৃন্দাবন সরকারী কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ ওঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠিরা তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। মারপিটের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম রুজেল আহমেদ। সে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ¯œাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শুক্রিবাড়ি গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
আহত রুজেল আহমেদ জানান, শুক্রবার রাত ৮টায় হবিগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে নিজের কর্মীদের নিয়ে অংশ নেন হবিগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মিসবাহ উজ্জামান মাহি ওরফে তুহিন। নিজের কর্মী সংকট থাকায় তুহিন কলেজ হোস্টেল থেকে ছাত্রদের তার সাথে সম্মেলনে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়। সম্মেলন চলাকালিন সময় ওষুধ কেনার জন্য সম্মেলনস্থল থেকে চলে আসেন হোস্টেলের শিক্ষার্থী রুজেল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তুহিন। সম্মেলন শেষে রুজেলকে সাইকেলে তুলে পিটিআই স্কুলের ভেতরে নিয়ে মারপিট করে।
তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করি না। লেখাপড়া করার জন্য শহরে আসছি। আমাকে জোর করে সম্মেলনে নেওয়া হয়েছে। পরে আবার মারপিটও করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিসবাহ উজ্জামান মাহিন ওরফে তুহিনের সাথে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কোন কিছুই জানি না। ওই ছেলেকেও চিনি না। এছাড়া আমিতো কলেজের ছাত্রও না।’
জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন বলেন, ‘সাধারণ একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি বলেন, ‘এটা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন বিষয়। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কথা বলার কি? এটাতো খুবই সাধরাণ একটি বিষয়।’
বৃন্দাবন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ও হোস্টেলের সহকারী ফকরুদ্দিন খান পারভেজ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। এমন ঘটনা ঘটলে সেটি অত্যান্ত দুঃখজনক। আমি কাল ঢাকা চলে যাবো। আপনি একটু হোস্টেল প্রধানের সাথে কথা বলেন।’