নবীগঞ্জের বৈঠাখাল গ্রামের সেলি মিয়া ও মুছা মিয়া গংদের অত্যাচারে সরকারি জলমহাল লিজ নিয়ে বিপাকে ইজারাদার। এনিয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবারে লিখিত আবেদন করা হলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সরকারি সার্ভেয়ার ও গোবলা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সামছুদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে বিলের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে আসলেও পরবর্তীতে তাদের নির্দেশনা অমান্য করে চলেছে এলাকার প্রভাবশালী সেলি মিয়া ও মুছা মিয়া গংরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের বৈঠাখাল গ্রামের পূর্বে অবস্থিত পারুবাদা জলমহালটি ৬ বছরের (১৪২৮-১৪৩৩ বাংলা সনের) জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় হইতে লিজপ্রাপ্ত হয়ে সরেজমিনে গিয়ে দখল গ্রহন করতে গেলে দেখা যায়, উক্ত পারুবাদা বিলের সীমানের ভিতরে পুকুর খনন করে অবৈধভাবে মাছ শীকার করে আসছে বৈঠাখাল গ্রামের সেলু মিয়া ও মুছা মিয়া গংরা। এতে জলমহালের লিজ গ্রহনকারীরা অর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে গত ৬ জুলাই ২০২২ইং তারিখে উক্ত জলমহালের লিজ গ্রহীতা বিশ^দেব সরকার বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিগত ৪ আগস্ট ২০২২ইং তারিখে জরুরী ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে নির্দেশ প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের আদেশের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নবীগঞ্জকে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। ঐ সময় বিলের মাছ শীকারের ভরা মৌসুম থাকলেও স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ইজাদার প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতির শিকার হন বলে লিজ গ্রহীতা বিশ^দেব সরকার অভিযোগ করেন। বিগত ১ মার্চ ২০২৩ইং তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নবীগঞ্জের নির্দেশে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমান ও গোবলা পুলিশ ফাড়ির এএসআই লোকেশ দাশ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরেজমিনে গেলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের সঙ্গে চরম দূর্ব্যবহার করে বৈঠাখাল গ্রামের মৃত আলম উল্লার পুত্র সেলি মিয়া, মৃত আব্দুল রউফের পুত্র মুছা মিয়া গংরা। পরবর্তিতে সার্ভেয়ার ও পুলিশ প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষ জলমহালের সীমানা নির্ধারণ করে লাল নিশান স্থাপন করে সীমানার ভিতরে জলমহাল লিজ গ্রহীতা ব্যতিত অন্য কেউ মাছ শীকার কিংবা জলমহালের ক্ষতি সাধন হয় এমন কোন কাজ না করার নির্দেশ দিয়ে আসেন। কিন্তু তাদের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে বর্তমানে জলমহালের সীমানার ভিতরে এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কেটে আরও পুকুর খনন করছে উল্লেখিত সেলি মিয়া ও মুছা মিয়া গংরা।
লিজ গ্রহীতা বিশ^দেব সরকার বলেন, বিগত বছর আমার কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে এবছরও আরও পুকুর খনন করে তাহলে আমার লিজের টাকাসহ সমস্ত মূলধন ক্ষতি সাধন হবে। এর প্রেক্ষিতে ঐ এলাকার প্রভাবশালী সেলি মিয়া ও মুছা মিয়া গংদের দখল উচ্ছেদ করার জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে আরেকটি আবেদন করেছি। যদি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করে আমাকে সম্পূর্নরুপে মাছ শীকার করতে না দেয়া হয় তাহলে আমি আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হবো।