রক্ত দিয়েই আওয়ামীলীগের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হবে
তারিখ: ১৯-মার্চ-২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার \

 বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- পুলিশের উপর নির্ভর করে কোনো স্বৈরশাসক ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, আওয়ামীলীগও পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিতে শিখেছে, রক্ত দিয়েই এই দেশ স্বাধীন করেছে, রক্ত দিয়েই বাকশাল থেকে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করা হয়েছে, রক্ত দিয়েই স্বৈরাচার এরশাদের পতন করা হয়েছিল, আবারও দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের ১৭ জন ভাই রাজপথে শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েই দখলদার আওয়ামীলীগের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হবে, ইনশাআল্লাহ।  
তিনি গতকাল শনিবার বিকালে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৭নং নুরপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি, গ্যাস বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জি কে গউছ আরও বলেন- হাজার চেষ্টা করেও বিএনপির আন্দোলন থামাতে পারবে না আওয়ামীলীগ। দেশে আজ মানুষের ভোটের অধিকার নেই, বাক-স্বাধীনতা নেই, জানমালের নিরাপত্তা নেই, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নেই, মানবাধিকার নেই। আওয়ামীলীগ দেশটাকে লুটপাটের রাজ্যে পরিণত করেছে। আওয়ামীলীগের এই দুঃশাসন থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। তাই আওয়ামীলীগের কবল থেকে মানুষকে মুক্ত করতে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোন করছে বিএনপি। এই আন্দোলন এখন আর বিএনপির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই আন্দোলন গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এই আন্দোলনে সফল না হয়ে, আওয়ামীলীগের পতন নিশ্চিত না করে দেশের মানুষ ঘরে ফিরে যাবে না।
তিনি বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বিএনপির সভা-সমাবেশ করতে কোনো বাঁধা নেই। কিন্তু হবিগঞ্জের পুলিশ বিএনপির উঠান বৈঠকে বাঁধা সৃষ্টি করছে, লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে যাতে লোক সমাগম কম হয়। এতে প্রমাণ হচ্ছে, হয় প্রধানমন্ত্রী অসত্য বলেছেন, না হয় হবিগঞ্জের পুলিশ অন্য কারো নির্দেশ পালন করছে। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে বাংলাদেশের মানুষ কার উপর আস্তা রাখবে। এই প্রধানমন্ত্রীর অধীনে, এই পুলিশের অধীনে বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না। কারণ আওয়ামীলীগ পুলিশ নির্ভর হয়ে, রাষ্টযন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশ পরিচালনা করছে। তাই শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়েই নিরদলীয় নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তত্ত¡াবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না।
জি কে গউছ বলেন- সামনে পবিত্র রমজান মাস, কিন্তু গরুর মাংস খাওয়া মানুষের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরুর মাংস প্রায় ৮শ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পোল্ট্রি মোরগও প্রায় ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ডিম ৬০/৬৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ডাবল বেড়েছে। অন্যান্য নিত্যপন্যও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। এই অবস্থার জন্য দায়ী আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ নেতাদের সিন্ডিকেটের কারণেই বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরী হয়েছে। তাই সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। কারণ জনগণের দায়-দায়িত্ব আওয়ামীলীগ নিতে চায় না।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও নুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহŸায়ক আব্দুল মোতালিব ফরিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক হাজী এনামুল হক, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, সাবেক আহŸায়ক মোঃ সলিম উল্লা, জেলা বিএনপির সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহীন, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু তাহের, সহ সভাপতি নিজামুল ইসলাম বেলাল, আব্দুল আজিজ ফরহাদ, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম কাওছার, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর যুবদলের আহŸায়ক কামরুল হাসান রিপন, বিএনপি নেতা উস্তার খা, সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াছ মিয়া, সেলিম আহমেদ, হাসানুর রহমান ইনু, সারওয়ার আহমেদ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক রাকিবুল ইসলাম সান্টু, শাহ আলম, তোফায়েল আহমেদ মনির, আরিফ হোসেন খোকন, সাইদুর রহমান, আব্দুন নুর, আব্দুল মজিদ কনাই, খোকন তালুকদার মেম্বার, কামরুল হাসান তরফদার, লস্কর মিয়া, নুরুল আমিন, কাজী ফারুক, কামাল মিয়া, ইসমাইল তালুকদার, খলিলুর রহমান মাসুম, জয়নাল মিয়া, আব্দুল বাছির, যুবদল নেতা আমিন শাহ, ছাত্রদল নেতা মোশাররফ হোসেন রনি, জীবন আহমেদ, নাজমা বেগম, ঝর্ণা বেগম, রাহানা, সুমি প্রমুখ।