বাহুবল উপজেলার বাহুবল বাজারের বাসিন্দা শাহীন চৌধুরীর দখলে বিভিন্ন স্থানের সরকারি জায়গা রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ওই জায়গা উদ্ধারে আবেদন, তদন্ত প্রতিবেদন, নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়ে বহাল তবিয়তেই রয়েছে তার দখল বাণিজ্য। এতে করে সরকারের প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব ও আইনশৃংখলা বাহিনীও ব্যর্থ শাহীন চৌধুরীর কবল থেকে সরকারি জমি উদ্ধারে। সচেতন মহলের প্রশ্ন, সরকারি জায়গা জমি আদৌ উদ্ধার হবে কি ভূমিখেকো শাহীন চৌধুরীর কবল থেকে? বাহুবল গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া এসব জায়গা উদ্ধারে প্রশাসনসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট অভিযোগ দিলে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দুখলমুক্ত ও স্থাপনা সরানোর নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানছে না শাহীন চৌধুরী। এতে শাহীন চৌধুরীর কুটির জোর নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। বাহুবল গ্রামের বাসিন্দা মরহুম ওয়ারিছ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে শাহীন চৌধুরী। বাহুবলের ভূমিখেকো হিসেইে পরিচিত। এক সময় উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায়ও দখলদারিত্ব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু শাহীন চৌধুরীর কুটির জোড় কোথায় জানেনা কেউ। এই শাহীন চৌধুরী ফয়জাবাদ হিলসের ১১২৪ দাগের প্রায় ৭ একর ও বাহুবল মৌজার ১০১৯ দাগের ৭ শতক সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে অবৈধ উপায়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে। এসব জমি উদ্ধারে বাহুবল গ্রামের দুলাল মিয়া সেনা ক্যাম্পেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমি রফিকুল ইসলাম দখল মুক্ত ও স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দিলেও টনক নড়েনি শাহীন চৌধুরীর। এ ব্যাপারে অসংখ্যবার পত্রপত্রিকায়ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।