হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর ও ২নং পুল বহুলা গ্রামবাসীর মাঝে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে বিরাজ করছে উত্তেজনা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন ফের সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। পুলিশ-সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সচেতন মহল বলছেন, ‘এ বিষয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় মুরুব্বীয়ানদের দ্রুত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নিলে ফের সংঘর্ষ দেখা দিতে পারে ?
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার শায়েস্তানগর পয়েন্ট ও ২নং পুল এলাকায় দু’ পক্ষের লোকজন জড়ো হয়। বৃৃষ্টি উপেক্ষা করে ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের তরুণরা সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে গত সোমবার শহরতলীর ২নং পুল এলাকায় টমটমের ধাক্কা লাগার জের ধরে টমটম চালক টুকন মিয়ার সাথে স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রের বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় শায়েস্তানগরের এক কিশোর মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রের পক্ষ নিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পওে বিষয়টি দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় শায়েস্তানগর ঈদগাঁহ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত। সংঘর্ষে ওসি ও এক পুলিশ সদস্যসহ ৪০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান জানান, গ্রামের তরুণরা সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিলে তাদের নিয়ন্ত্রন করি। অল্পের জন্য মারামারি হয়নি।
দুই গ্রামের বিশিষ্ট জনদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এখন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।