বাহুবলের খালের উপর কমিউনিটি ক্লিনিক \ সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি
তারিখ: ৩-জুলাই-২০২৫
রাজু সরকার, বাহুবল \

বাহুবল উপজেলার ¯œানঘাটে খালের উপর নির্মান করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে নির্মাণ করা হয়নি রাস্তা। যে কারণে ঝুকি নিয়ে নড়েবড়ে কাঠের সাকো দিয়ে ক্লিনিকে যাতায়াত করছেন ইউনিয়নের সেবাগ্রহীতারা। তবে কাঠের সাঁকোটি ঝুঁকিপূূর্ণ থাকায় দেখা দিয়েছে দূর্ঘটনার শঙ্কা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কমিউনিটি ক্লিনিক নির্র্মাণের ৫ বছরেও খালের উপর নির্মাণ করা হয়নি রাস্তা বা একটি পাকা সেতু। কাঠের সাঁকো পারাপারে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। ্এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। 
জানা যায়, ২০২০ সালে স্নানঘাট বাজারের পাশে একটি খালের উপর নির্মাণ করা হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। সেবাগ্রহিতাদের যাতায়াতে নির্মাণ করা হয় কাঠের সাকো। দীর্ঘ ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার কাঠের সাকোটি এখন নড়েবড়ে অবস্থা। সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুকিপূর্ণ কাঠের উপর ভর করে ক্লিনিকে যাতায়াত করছেন স্বাস্থ্যসেবা প্রত্যাশীরা। 
স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা সাফিয়া বেগম বলেন, ‘ক্লিনিকে ঔষধপাতি নেওয়ার জন্য প্রায় সময়ই আসি। কিন্তু  ঝুকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যা খুবই ভয় লাগে’। খন্দকার পারভেজ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘ক্লিনিক নির্মাণের ৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। ঝুকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে রোগীদের অনেক কষ্ট হয়। এমনকি খালে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছেন’। 
ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) বিজন সূত্রধর বলেন, ‘এই ক্লিনিকের রোগীর সংখ্যা বেশি। ঝুকিপূর্ণ সাঁকো পাড় হয়ে রোগীর ক্লিনিকে আসতে হচ্ছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলার যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়। এ ছাড়া প্রায় সময়ই দূর্ঘটনায় শিকার হচ্ছেন রোগীরা’। তিনি আরও বেেলন, ‘দুই বার এ ক্লিনিকের ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে। প্রথমবার কেন হয়নি আমার জানা নেই। তবে  দ্বিতীয়বার আমিসহ কর্তৃৃপক্ষের সকল সদস্যরা পিআইও’র সাথে দেখা করে আলাপ করলে তিনি জানান- ড্রয়িং ভুল হয়েছে। যার কারণে ব্রিজটি হচ্ছে না’। 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক রাহিন বলেন, ‘এই ক্লিনিকের একটি ব্রিজ অনুমোদন আছে। পর্যাপ্ত পরিমাণের চেয়ে ড্রয়িং বড় হওয়ায় (ড্রয়িং ভুল)। এ ড্রয়িংয়ে ব্রিজ নির্মাণ করলে ক্লিনিক ভাঙ্গা পড়ে যায়। আবার ড্রয়িংয়ের ভুল সংশোধনে গেলে বরাদ্দ বাতিলও হতে পারে। যার কারণে কাজটা আটকে পড়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়নের বরাদ্দ থেকে ছোটখাটো ভাবে একটা কালভার্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে’।

প্রথম পাতা