শায়েস্তাগঞ্জে আসামী গ্রেফতারে পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
তারিখ: ২৯-ডিসেম্বর-২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥

 শায়েস্তাগঞ্জে জিআর মামলার আসামীদের এক বছরেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার।
গতকাল রবিবার হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তোফায়েল মিয়ার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মা আজিবুন্নেছা। তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১১ অক্টোবর শায়েস্তাগঞ্জ থানার শ্যামপুর কুতুবের চক এলাকার পারভেজ ফুড প্রোডাক্টে তার ভাই পায়েল মিয়ার মানিব্যাগ থেকে ২০ হাজার টাকা চুরি হয়। চুরির সময় ১নং আসামী জিতু মিয়াকে হাতেনাতে ধরা হলেও একই রাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কালেঙ্গা গ্রামের (কাঠাতলী) গ্রামের মৃত জহুর আলীর পুত্র মোঃ জিতু মিয়া, মাসুক মিয়া, আলতাব মিয়া, তৌফিক মিয়া, সানু মিয়ার পুত্র মোঃ মামুন মিয়া ও সুমন মিয়া আসামী দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়েল মিয়াকে গুরুতরভাবে জখম করে। পরে তাকে এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়। বর্তমানে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ রয়েছেন।
এ ঘটনায় তোফায়েল মিয়া বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় জি.আর ১৬/২০২৫ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের এক বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত কোনো আসামী গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কাশেম আসামী গ্রেফতারের নামে তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা অর্থ দাবি করেন এবং ১২ হাজার টাকা দেওয়ার পরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি। বরং আসামীরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ভুক্তভোগী পরিবার ও সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছে। এতে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও চুনারুঘাট থানায় প্রতিপক্ষের দায়ের করা সি.আর ৮৭৬/২০২৫ মামলায় মিথ্যা ও জাল প্রত্যয়নপত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে জি.আর ১৬/২০২৫ মামলার সকল আসামীদের গ্রেফতার, তদন্ত কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত, ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং প্রয়োজনে নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত পরিচালনার দাবি জানানো হয়।
ভুক্তভোগীরা পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ, ডিআইজি, আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, এই নীতির বাস্তব প্রয়োগই তাদের একমাত্র দাবি।

প্রথম পাতা