গ্রামীণ ব্যাংক জগন্নাথপুর ব্র্যাঞ্চের ফিল্ড অফিসার হেপী রানীর বিরুদ্ধে ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ লোপাট করেছেন কর্তা ব্যক্তিরা, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার -হেপী
তারিখ: ২২-জুন-২০১৩
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি \ নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (
পশ্চিম)
ইউনিয়নের গ্রামীন ব্যাংক জগন্নাথপুর ব্র্যাঞ্চের ফিল্ড অফিসার হেপী রানী পালের বিরুদ্ধে ৩৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে
হেপী
রানী
পাল
এ
ঘটনার
সাথে
অফিসের
কর্মকর্তারা
জড়িত
বলে
জানিয়েছেন। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর এলাকায় তোলপাড় চলছে।
অফিস
ও
স্থানীয়
সুত্রে
জানা
যায়,
গ্রামীণ
ব্যাংক
জগন্নাথপুর
ব্র্যাঞ্চ
অফিসের
ফিল্ড
অফিসার
হেপি
রাণী
পাল
২৫৯
জন
গ্রাহকের
নাম
ব্যবহার
করে
গ্রাহকদের
নাম
মাত্র
৩/
৫ শত টাকা করে দিয়ে প্রায় ৩৪ লাখ ২৭ হাজার ৭৫ টাকা আত্মসাত
করেন। বিষয়টি ব্র্যাঞ্চের ম্যানাজার থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মকর্তারা জানার পরও রহস্যজনকভাবে নীরব থাকেন।
সম্প্রতি
উক্ত
ব্র্যাঞ্চে
হবিগঞ্জ
থেকে
অডিট
হলে
উক্ত
আত্মসাতের
ঘটনা
ধরা
পড়ে। এতে হেপী রানী পাল লিখিতভাবে তার দায় স্বীকার করে বলে অফিস সুত্রে জানা গেছে।
অডিট
কমিটির
হাতে
এ
ঘটনা
পাস
হওয়ার
পর
১৭
লাখ
১
হাজার
৯শ
৪৫
টাকা
পরিশোধ
করা
হয়েছে। বাকী ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫ টাকা অনাদায়ী থাকায় কর্তৃপক্ষ ২৪ জুনের মাঝে ৩ লাখ এবং পরবর্তী প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে ৬ মাসের মাঝে পরিশোধের জন্য তাগিদ দিয়েছেন বলে সূত্রে প্রকাশ।
এ
ব্যাপারে
ফিল্ড
অফিসার
হেপী
রানী
পালের
সাথে
মোবাইল
ফোনে
যোগাযোগ
করা
হলে
তিনি
জানান,
এই
ঘটনার
সাথে
উক্ত
ব্র্যাঞ্চের
সকল
কর্মকর্তা
জড়িত। তিনি আরো বলেন- “
আমি সামান্য বেতনে চাকুরী করি।
এত
টাকার
দায়
আমার
পক্ষে
নেয়া
সম্ভব
নয়। অফিসের কর্তা ব্যক্তিরা একজোট হয়ে আমাকে অসহায় ও নিরীহ পেয়ে জোরপূর্বক উল্লেখিত টাকা লোপাটের দায় স্বীকারোক্তিমূলক একটি কাগজে দস্তখত নিয়েছেন। তবে এ পর্যন্ত যে পরিমাণ টাকা জমা দেয়া হয়েছে তা আমি দেইনি।
যারা
আত্মসাত
বা
লোপাট
করেছেন
তারাই
উক্ত
টাকা
জমা
দিয়েছেন। কিন্ত দায় বর্তাচ্ছেন আমার উপর।” এ ব্যাপারে ব্র্যাঞ্চ ম্যানাজার হারুনুর রশীদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি তিনি এড়িয়ে যান।
হেপী
রানী
পালের
অভিযোগের
বিষয়ে
প্রশ্ন
করলেও
তিনি
কোন
জবাব
না
দিয়ে
জানান,
এ
ঘটনার
মিমাংসা
হয়ে
গেছে। কি হয়েছে বা কিভাবে হয়েছে তা বলতেও অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
অবশ্য
তিনি
বলেছেন
উক্ত
টাকার
দায়
গ্রামীণ
ব্র্যাংকের
কোন
সদস্যদের
নিতে
হবে
না। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ জোনাল অফিসের এরিয়া ম্যানাজার ক্ষুদিরাম পাল জানান-
তিনি অবগত নন।
তবে
খোঁজ
নিয়ে
দেখবেন
বলেও
জানান। গ্রামীণ জনপদের দারিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত গ্রামীণ ব্যাংক জগন্নাথপুর ব্র্যাঞ্চ এলাকার দারিদ্র মহিলাদের বরাদ্ধ না দিয়ে তাদের নাম ব্যবহার করে প্রায় ৩৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে কর্তা ব্যক্তিরা কিভাবে লোপাট করলেন বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত না হওয়ায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ
ছাড়া
উক্ত
হেপী
রানী
পালের
বিরুদ্ধে
এলাকার
সহজ
সরল
মহিলাদের
কাছ
থেকে
প্রচুর
টাকা
হাতিয়ে
নেয়ার
অভিযোগ
উঠেছে। হেপী রানী পাল খুবই দূর্দান্ত মহিলা।
সে
ওই
এলাকায়
কিছু
দালাল
মহিলাদের
দিয়ে
সিন্ডিকেট
তৈরী
করে
উল্লেখিত
টাকাগুলো
হাতিয়ে
নেয়। তার বিরুদ্ধে আরো অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
এ
ব্যাপারে
উর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের
জরুরী
ভিত্তিতে
পদক্ষেপ
এবং
দায়ীদের
বিরুদ্ধে
শাস্তিমূলক
ব্যবস্থা
নেয়ার
দাবী
জানিয়েছেন
এলাকাবাসী।