বানিয়াচংয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেও দেশীয় অস্ত্র জমায় মেলেনি সুফল
তারিখ: ২৬-মে-২০২৩
বানিয়াচং প্রতিনিধি \

 বানিয়াচংয়ে প্রাণঘাতী মারাত্মক দেশীয় অস্ত্র ২৫ মে জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু স্বপ্রণোদিত হয়ে কেউই বানিয়াচং থানায় এসে দেশীয় অস্ত্র জমা দেয়নি। দেশীয় অস্ত্র টেটা, ফিকল, বল্লমসহ দেশীয় প্রাণঘাতী মারাত্মক অস্ত্র নিষিদ্ধ ঘোষনা করে বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসন গত ১৮ মে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলো। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় এ ব্যাপারে প্রচারণা চালিয়েও কোন সুফল আসেনি। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ১৬ মে স¤প্রীতি সমাবেশ করে ১০ দিনের মধ্যে গ্রাম্য দাঙ্গাবাজদের হুশিয়ারি জানিয়ে অস্ত্র জমাদানের জন্য আহবান জানিয়েছিলেন। গতকাল ২৫ মে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও বানিয়াচং থানায় যোগাযোগ করে জানা যায়, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে কেউই অস্ত্র জমা দেয়নি। বিগত এপ্রিল মাসে বানিয়াচং উপজেলায় গ্রাম্যদাঙ্গায় ৫টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় কমিটির সকল সদস্য ও উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের দাবী ছিল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে যেন প্রশাসন অভিযান চালায়। অস্ত্র জমাদানের সময়ের মধ্যেই গত ২২ মে বানিয়াচং উপজেলার ১৩ নম্বর মন্দরী ইউনিয়নের টুপিয়াজুরি গ্রামে আবারও গ্রাম্যদাঙ্গায় এক যুবক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ মে সকালে সিলেট এমএজি ওসমানীমেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
দেশীয় অস্ত্র জমাদান বিষয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব জানান, প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কেউ দেশীয় অস্ত্র জমা করে নাই। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ বলেন, বানিয়াচং উপজেলাকে একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে প্রতিষ্টিত করতে আমাদের স্থানীয় প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলাম। আমাদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কেউই মারাত্মক দেশীয় অস্ত্র জমা করে নাই। আমরা এখন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবো এবং কারো কাছে নিষিদ্ধ অস্ত্র পাওয়া গেলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিব।