হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নরে আব্দাছালিয়া গ্রামের লতিরাজ কচুর ৫টি প্রদর্শনীতে বারি পানি কচু ১- জাতের কচু আবাদ করে প্রথম চার মাসে ৮ লক্ষ টাকার লতি বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন সেখানকার কৃষকরা। তারা প্রত্যেকেই ৩৩ শতাংশ করে লতিরাজ কচুর আবাদ করেছেন।
শুক্রবার পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
মাঠ দিবসে লতিরাজ কচুর চাষি হাবিবুর রহমান, মাহমদ আলী, আব্দুল মনাফ, পলি আক্তার ও অরুণ কুমার চৌধুরী জানান, প্রথমবারের মতো চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৩৩ শতাংশ করে প্রায় ৫ বিঘা জমিতে (লতিরাজ কচু) আবাদ করেছেন। কচুতে ভালো ফলন হবে। আগামীতে আরও অধিক জমিতে এ কচুর আবাদ করবেন বলেও জানান তারা।
তারা আরও জানান, তাদের কচু চাষ দেখে অন্য কৃষকেরাও কচু চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। লতিরাজ কচু আবাদ ধান চাষের চেয়েও অনেক লাভজনক। প্রকল্পের আওতায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে কচু চাষ করে লাভবান হবে। তারা আশা করছেন মোট প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার লতি বিক্রি করতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মৌসুমি পতিত জমিকে ফসলের আওতায় আনার জন্য এবং উচ্চমূল্যের ফসল বাণিজ্যিকভাবে আবাদ করার জন্য এডিএসআরএমটিপি প্রকল্পের সহায়তায় কৃষি বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। লতিরাজ কচু, বারমাসি তরমুজ, চিনাবাদাম, অফসিজনাল সবজি এবং ফল বাগান সৃজনের মাধ্যমে উপজেলার সাময়িক পতিত জমি ফসলের আওতায় আসছে, ফলে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘যে সকল মাঠে সেচের সমস্যার কারণে ফসল ফলানো সম্ভব হত না, সেখানে কৃষক দলের মধ্যে এলএলপি মেশিন, ফিতা পাইপ সরবরাহ করা হয়েছে। কোথাও কোন প্রকার জমি ফেলে রাখা যাবে না।’
পরে কৃষকদের রোপনকৃত লতিরাজ কচুর প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন কৃষি কর্মকর্তাগণ।