এমপি মিলাদ গাজী ও দ্য প্যালেসের মধ্যে ‘সিকাটিলা’ দখল নিয়ে দ্ব›দ্ব চরমে
তারিখ: ২২-জুলাই-২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার \

বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়ি ইউনিয়নের মীরের পাড়া গ্রামে সিকাটিলা দখল নিয়ে দ্ব›দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে হবিগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ মিলাদ ও দ্য প্যালেস ইনস্টিটিউট অব হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্টের মধ্যে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। এরই মধ্যে পুটিজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুদ্দত আলীর বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে ভীতি ছড়ানোর অভিযোগ করেছে প্যালেস কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বৃন্দাবন মৌজার জেএল ২৮ এর ৪০নং দাগে মোট ৮ একর ৪০ শতক ভূমি রয়েছে। এর মধ্যে ৪ একর ১০ শতাংশ ভূমি ভূমি নিজের বলে দাবী করেন সাংসদ শাহ নওয়াজ। একই স্থানে আবার ২৮৫ শতক ভূমি নিজের বলে দাবী করছেন দ্য প্যালেস ইনস্টিটিউট অব হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট। তারা বলছেন, তাদের ভূমিতে তাদের নির্মিত দেয়াল রয়েছে। তাদের রয়েছে যাবতীয় কাগজপত্রও। গত সোমবার বিকেলে দ্য প্যালেস ইনস্টিটিউট অব হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্টের লোকজন সেখানে গিয়ে দেয়ালের উপর রং লাগায়। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সাংসদের লোকজন চেয়ারম্যান মুদ্দতের নেতৃত্বে সেখানে গিয়ে ফের অন্য রং লাগিয়ে দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
সাংসদ গাজী শাহ নওয়াজের ব্যক্তিগত সহকারি সোহাইল আহমদ জানান, সাংসদ শাহ নওয়াজ ক্রয়সূত্রে ওই ভূমির মালিক। কয়েক বছর আগে ওই ভ‚মি দ্য প্যালেস ইনস্টিটিউট অব হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট দেয়াল দিয়ে দখলে নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে গত ২০২১ সালে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার (ভ‚মি)সহ উভয় পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে ভ‚মি মাপজোক করে সাংসদ শাহ নওয়াজ তার জায়গা বুঝে নেন।
তিনি বলেন, প্যালেস কর্তৃপক্ষ দেশীয় অস্ত্রের যে বিষয়টি অভিযোগ করেছেন সেটি সঠিক নয়। ছবিতে যার হাতে দা দেখা গেছে সে আমাদের টিলার পাহাড়াদার।
এ বিষয়ে সাংসদ শাহ নওয়াজ গাজী বলেন, ১৯৯৯ সালে তিনি এমআর এইচ গার্মেন্টেসের নামে ওই ভ‚মি ক্রয় করেন। দলিল ও আরএস প্রিন্ট পর্চায় তার মালিকানা উল্লেখ রয়েছে। এক পর্যায়ে দ্য প্যালেস কর্তৃপক্ষ তার ভ‚মি দখল করে নেয়। বছর দেড়েক আগে উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে দখল হওয়া ভ‚মি তিনি উদ্ধার করেন।
দ্য প্যালেসের এজিএম ওয়েছুর রহমান পাভেল জানান, ৩৯ ও ৪০ নং দাগে মোট ২৮৫ শতক ভূমি আমাদের। যা আমরা ক্রয় সূত্রে মালিক। এই ভ‚মির নামে ব্যাংক লোন রয়েছে। আমাদের এই ভ‚মিতে তারা সাইনবোর্ড টানিয়ে দখলে নিয়েছেন। চেয়ারম্যান মুদ্দত আলীসহ বেশ কিছু লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ভীতি ছড়াচ্ছে।
অভিযুক্ত মুদ্দত আলী বলেন, আমি এখানকার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমি বিষয়টি জানতে পেরে একজন প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে গিয়েছিলাম। ঘটনার সময় সেখানে কেউ অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়নি। এছাড়াও জায়গাটি এমআর এইচ গার্মেন্টেসের নামে বলে আমি জানি।
বাহুবল থানার (ওসি) মোঃ রাকিবুল ইসলাম খান বলেন, এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার মতো কোন ঘটনা হয়নি। এটা তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়। এরা নিজেরাই এটার সমাধান করবে।