বাহুবল প্রতিনিধি \ বাহুবলে কৃষি উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম খাঁনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও কৃষকদের সাথে ক্ষমতার অপব্যবহার এর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ২ টার দিকে ভুক্তভোগী কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কৃষকদের পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী আব্দুল হান্নান। তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা দীর্ঘদিন যাবত কৃষি যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। নুরুল ইসলাম খাঁনের ঘুষ গ্রহণ ও কৃষকদের সাথে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দলীয়করণের কারণে এসব হয়েছে। তিনি সরকারী বিধিমালা অমান্য করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজ এলাকায় চাকরি করছেন। ভুক্তভোগিরা জানান, উপ-সহকারী নুরুল ইসলাম খাঁন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে নিজ এলাকায় বাহুবল কৃষি অফিসে আজও বহালতবিয়তে রয়েছেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে লিখিতভাবে তার অপসারণের দাবী জানান। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন এর সাথে তারা দেখা করে কথা বলেন এবং অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম খাঁনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি এবং কৃষকদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মৌখিকভাবে ও লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এ সময় কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও কৃষকদের জানান তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও বহালতবিয়তে আছেন নুরুল। উল্লেখ্য, গত বছর নুরুল ইসলাম খাঁনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও কৃষকদের সাথে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠলে কৃষকরা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন, তা বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের আশীর্বাদে বহালতবিয়তে রয়ে যান নুরুল ইসলাম খাঁন।নিজ এলাকায় চাকরির বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম খাঁন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমি তাই মেনে নিবো’। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম খাঁনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাইলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা এবং অভিযোগ প্রমানিত হলে তাকে সরিয়ে দেয়া হবে’। নুরুল ইসলাম খাঁনের নিজ এলাকায় চাকরির বিষয়টি জানতে সিলেট খামারবাড়ির অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মতিউজ্জামান বলেন,কৃষিকদের সাথে যদি ওই উপ-সহকারীর বনিবনা না হয় তাহলে তিনি এই এলাকায় থাকার কোন বিধান নেই, যেহেতু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি অফিসার বিষয়টি অবগত উনারা অবস্থা নিবেন, যদি আমাদের কাছে আসে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।