হবিগঞ্জ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন চৌধুরী
তারিখ: ২-অক্টোবর-২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার \

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি হলেন হবিগঞ্জেরই কৃতি সন্তান অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোঃ শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে ভিসি নিয়োগ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পাঁচটি শর্তে অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিনকে চার বছর মেয়াদে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। শর্তের মধ্যে রয়েছে, তার নিয়োগের মেয়াদ থেকে আগামী চার বছরের জন্য ভিসি পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়ন এর ফকিরাবাদ সাহেব বাড়ির সৈয়দ শফিক উদ্দিন আহমেদ (অবঃ ডিজিএম বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক) এর ছেলে। তার পিতা সৈয়দ শফিক উদ্দিন আহমেদ  ছিলেন হবিগঞ্জ সরকারী বৃন্দাবন কলেজ ছাত্র সংসদ এর প্রথম নির্বাচিত ভিপি। এদিকে, অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) পদে নিয়োগ পাওয়ায় আনন্দে ভাসছে গোটা হবিগঞ্জ। নিয়োগের খবর জানাজানির পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জানাচ্ছেন অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা বার্তা। অনেকেই বলছেন, জেলার সন্তান উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যিকারের সুফল পাবে জেলাবাসী। মানবিক মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠা অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ এর ভিসি হিসেবে মনোনীত করায় হবিগঞ্জ এর সর্বস্তরের জনগণ স্বাগত জানিয়েছে। অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদের হাত ধরে দ্রæতই স্থায়ী ক্যাম্পাসের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেবে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির হাত থেকে রক্ষা পাবে প্রতিষ্ঠানটি। উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদের একাডেমিক যোগ্যতা চিত্তাকর্ষক। তিনি ১৯৯৩ এবং ১৯৯৫ সালে যথাক্রমে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অর্জন করেন। উনার উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যেখানে তিনি ২০০৩ সালে ভেটেরিনারি মেডিসিনে ডিসটিংকশনসহ ডিগ্রি অর্জন করেন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটিতে (সিভাসু) মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে উনার একাডেমিক ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালেই। ২০১২ সালের মধ্যে তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং একাডেমিয়া ও গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অব্যাহত রাখেন। ২০১৫ সালে তিনি পূর্ণ অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। এপিডেমিওলজির প্রতি আগ্রহের কারণে তিনি বিদেশে পডাশোনা চালিয়ে যান এবং ২০০৭ সালে নেদারল্যান্ডসের টষঃৎবপযঃ টহরাবৎংরঃু থেকে এপিডেমিওলজিতে এমএসসি সম্পন্ন করেন। ২০১২ সালে ডেনমার্কের ঈড়ঢ়বহযধমবহ টহরাবৎংরঃু থেকে এপিডেমিওলজিতে পিএইচডি অর্জন করার পর, ২০১৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ডেনমার্কের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে একজন পোস্টডক্টরাল গবেষক হিসেবে কাজ করেন। ২০১৫ সালে তিনি ইমার্জিং ইনফেকশন প্রোগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)-এর ইনফেকশাস ডিজিজ বিভাগের সিনিয়র ইন্টারন্যাশনাল ফেলো ছিলেন। গবেষণায় রয়েছে উনার বিস্তৃত অবদান। তিনি ২৭টি বৈজ্ঞানিক প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন এবং কর্মজীবনে প্রায় ৮০টি পিয়ার-রিভিউড গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। উনার এইচ-ইনডেক্স২০ এবং আই ১০-ইনডেক্স ৩১। স্যারের গবেষণা মূলত সংক্রামক রোগ সংক্রামক রোগ এবং মডেলিং নিয়ে কেন্দ্রিত। উনার গবেষণায় উঅঘওউঅ, ঋঅঙ, টঝ-ঈউঈ, টঝঅওউসহ বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়ন রয়েছে। তিনি প্রধান এবং সহ প্রধান গবেষক হিসেবে প্রায় চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার গবেষণা তহবিল সংগ্রহ করেছেন।অধ্যাপক সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ অসবৎরপধহ ঝড়পরবঃু ভড়ৎ গরপৎড়নরড়ষড়মু, অসবৎরপধহ ঝড়পরবঃু ড়ভ ঞৎড়ঢ়রপধষ গবফরপরহব ধহফ ঐুমরবহব, ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝড়পরবঃু ভড়ৎ ঠবঃবৎরহধৎু ঊঢ়রফবসরড়ষড়মু ধহফ ঊপড়হড়সরপং এবং ডড়ৎষফ চড়ঁষঃৎু ঝপরবহপব অংংড়পরধঃরড়হ -এর সক্রিয় সদস্য। তার বৈশ্বিক উপস্থিতি ৪০টিরও বেশি দেশে সম্মেলন এবং বৈজ্ঞানিক সভায় অগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি ডঐঙ-ঝঊঅজঙ, ঋঅঙ, ঘধঃরড়হধষ অপধফবসু ড়ভ ঝপরবহপবং (টঝঅ), এবং ওহফরধহ ঘধঃরড়হধষ অপধফবসু ড়ভ ঝপরবহপবং এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

প্রথম পাতা