চুনারঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে এক মন্দিরে একটানা কয়েক বার সরকারি বরাদ্দ নিলেন ছাত্রলীগ নেতা বিবেচনায় চাকুরী পাওয়া পতিত সরকারের নিয়োগকৃত উপজেলা আইসিটি প্রকল্পের ট্যাকনিশিয়ান গোপাল চন্দ্র দাস। চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের চন্ডীছড়া চা বাগানের আপার লাইনের রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের নাম পরিবর্তন করে পরপর কয়েকবার অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে কয়েক লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিলেও কাজ হয়েছে নামে মাত্র। তিনি শুধু এই মন্দিরের নামেই নয়, আরো কয়েকটি নামে বেনামে সরকারি বরাদ্দ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যা সঠিক তদন্তের মধ্যে বেরিয়ে আসবে। একই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে বারবার বরাদ্দ নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য চা বাগানের শ্রমিকরা। তথ্য নিয়ে জানা যায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত দুটি গরু তিনি উপজেলা প্রশাসনের প্রভাব বিস্তার করে নিয়েছেন কিন্তু এই গরু দুটি কাকে কোথায় দিয়েছেন তার কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। চণ্ডী ছড়া চা বাগানের মেম্বার বিকাশ তাতী বলেন মন্দিরে তেমন কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি। আমরা গত সরকারের আমলে ৫০ হাজার করে দুইবারে এক লক্ষ টাকা ও একবার ২০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। এবার শুনতেছি আরও ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বিভিন্ন চা বাগান সরেজমিনে পরিদর্শন করে চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় চুনারুঘাটের কয়েকটি বাগানে জরাজীর্ণ মন্দির রয়েছে কিন্তু একই মন্দিরে বারবার বরাদ্দ নেওয়া এটা কেমন করে হয়। প্রশ্ন উঠেছে বরাদ্দ নেয়া হয়েছে ভালো কথা কিন্তু ওই মন্দিরের উন্নয়ন কতটুকু হয়েছে সেটি তদন্তের বিষয়। টেকনিশিয়ান গোপাল চন্দ্র দাশের মাধ্যমে উপজেলার দশটি ইউনিয়নের জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়। এতে ভুল ভ্রান্তি ধরে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি বলেন, আমি এসেছি মাত্র, অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী বরাদ্দগুলো নিশ্চয়ই যাচাই-বাচাই করে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে গোপাল চন্দ্র দাস মন্দিরের উন্নয়নে চার বার বরাদ্দ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তিনি নিজে এবং আরও কয়েকজনের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবরে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অনেকে অভিযোগ করে বলছেন আওয়ামী লীগের ধূসর উপজেলা পরিষদের সি এ ওয়াহিদুল ইসলাম সুমন বদলি হলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন গোপাল চন্দ্র দাস। সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা বাসী দাবি জানিয়েছেন।