চুনারুঘাটে ডেপুটি রেঞ্জারের দায়েরকৃত মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে শানখলা ইউপি শ্রমিকদল
তারিখ: ১৪-ডিসেম্বর-২০২৫
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

চুনারুঘাট উপজেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম খান এর উপর মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলক মামলা ও বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের নেতৃবৃন্দ। তারা পত্রিকায় প্রদত্ত বিবৃতিতে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার এর দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। ৫নং শানখলা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের আহবায়ক মোঃ শামীম মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আতাউর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আলাউদ্দিন, যুগ্ম আহবায় মোঃ সুফি মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুরুপ মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহ আলম, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ বাছির মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক শ্রী নল বাউড়ি, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আদম আলী, যুগ্ম আহবায়ক প্রসেন ভৌমিক, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ হান্নান মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শিবলু মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক করিম মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক লিটন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক হেলাল মিয়া, সদস্য সচিব মোঃ ইউছুব আলী, সদস্য সৈয়দ মোঃ ফরহাদ মিয়া, সদস্য মোঃ লিটন মিয়া, সদস্য মোঃ দুূলাল মিয়া, সদস্য মোঃ কাশেম মিয়া, সদস্য শাওন ভৌমিক।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন বন বিভাগের কমকর্তা সৈয়দ আশিক মিয়া ওরফে তাউজ চুনারুঘাট উপজেলার বরআব্দা গ্রামের বাসিন্দা। ৯০ দশকে চুনারুঘাট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার পিতা আওয়ামী লীগের একজন কর্মী এবং সাবেক এমপি এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, সাবেক পিপি আকবর হোসেন জিতু ও চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের দালাল ছিলেন। বন কর্মকর্তা আওয়ামী দুসর হওয়া সত্ত্বেও ওই অফিসে বহাল তবিয়তে থেকে আয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার গভীর ষড়যন্ত্র করছেন এমনকি বিএনপিকে বিতর্কিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্রের লিপ্ত রয়েছেন। যার ফলে সে শ্রমিকদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম খানসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রাণী করছেন। 
এদিকে ডেপুটি রেঞ্জার সৈয়দ আশিক বিগত দিনে বন বিভাগের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। তার অপকর্মের কারণে একাধিকবার বরখাস্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে পূজি করে মোটা অংকের টাকা খরচ করে পুনরায় সে একই অফিসে বহাল হয়। এরপর থেকে তার ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। এতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রাণী করে আসছে। 
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন জাহাঙ্গীর আলম খান একজন স্বজ্জন ব্যক্তি। পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার চুনারুঘাটে সুনাম রয়েছে। কিন্তু বনকর্মকর্তা সৈয়দ আশিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করার জন্য বিএনপি ঘরনার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। আমরা তার অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবি জানাই। অন্যথায় চুনারুঘাটবাসীকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।

প্রথম পাতা