খালেদা জিয়ার মতো অভিজ্ঞ নেত্রীর উপস্থিতি জাতীয় স্বার্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
তারিখ: ১৯-ডিসেম্বর-২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা শুধু নিজের দলের জন্য নয়, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা এবং মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দীর্ঘ সময়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল সমাপ্তির পর্যায়ে খালেদা জিয়ার মতো অভিজ্ঞ নেত্রীর উপস্থিতি জাতীয় স্বার্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বড় বহুলায় সদর উপজেলার ৫নং গোপায়া ইউনিয়ন বিএনপির গণদোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলে জি কে গউছ আরও বলেন- খালেদা জিয়াকে জনগণের দৃষ্টির সামন থেকে আলাদা করার জন্য শেখ হাসিনা এবং আওয়ামীলীগ অনেক চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করেছে। খালেদা জিয়ার গাড়ির বহরে বারবার হামলা হয়েছে, মামলা হয়েছে, প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু খালেদা জিয়া থেমে থাকেননি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের ন্যায়সংগত দাবী আদায়ের জন্য খালেদা জিয়া বারবার রাজপথে নেমে এসেছেন। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা এবং তার পেটুয়া আইন শৃংখলা বাহিনীর সকল বাঁধা উপেক্ষা করে জনগণের পাশে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে খালেদা জিয়া সামনে এগিয়ে গেছেন। কোনো বাঁধাই খালেদা জিয়াকে রুখতে পারে নাই।   
তিনি বলেন- আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে না হয় সে জন্য দেশী-বিদেশী চক্রান্ত ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু বসে নেই। জনগণের হাজার হাজার টাকা চুরি করে আওয়ামীলীগের এমপিরা পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা রাষ্ট্রের কোষাগার ফোকলা করে দিয়েছে। দেশের মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে না পারে সে জন্য আওয়ামীলীগের পালিয়ে যাওয়া লোকজন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা কালো টাকা খরচ করে আমাদের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টির পায়তারা করছে, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের বিষয়ে আমাদের সকলকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।
জি কে গউছ বলেন- বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা স্বাধীন দেশে জন্মেছি অন্য কারো গোলামী করার জন্য নয়। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, স্বাধীনতার পক্ষে যারা ছিল তাদেরকে এক হয়ে স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা ছিল তাদেরকে বর্জন করতেই হবে। 
তিনি বলেন- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি দেশের নারী উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। খালেদা জিয়া মার্তৃত্বকালিন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, নারীদের বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা ও উপবৃত্তি চালু করেছিলেন। খালেদা জিয়ার শাসন আমলে নারীর শিক্ষা, নারীদের কর্মসংস্থান, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে অংশ গ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
গোপায়া ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে এবং গোপায়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান শাহীন ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মানিক, জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক আরব আলী প্রমুখ।