স্টাফ রিপোর্টার ॥
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীর মৃত্যুর সংবাদের পর ছাত্র জনতার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো জেলা। রাত সাড়ে ১০ টার হবিগঞ্জ শহর, বাহুবল, নবীগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র জনতা। এতে বিক্ষোভকারীরা ওসমান হাদী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এদিকে, শহীদ ওসমান হাদীর নির্মম হত্যাকান্ডে জড়িতদের শাস্তি ও বিচারের একদফা দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ ও শহর ব্লকেডের ঘোষনা দিয়েছে ছাত্র জনতা। আজ শুক্রবার বাদ জুুমআ কোর্ট মসজিদের সামনে এ কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টায় বাণিজ্যিক এলাকায় ও চিরাকান্দিতে ছাত্র জনতা বিক্ষোভ করে। এর আগে ১১ টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবলের মৌচাক এলাকায় বিক্ষোভ করে ছাত্র জনতা। এ সময় মহাসড়কে টায়ার পুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে সড়কের দু’ পাশে যানবাহন আটকা পড়লে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। রাত ১০ টায় নবীগঞ্জ শহরে তাৎক্ষণিকভাবে জামায়াতের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র জনতা। বক্তারা শরীফ ওসমান বিন হাদির হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
অন্যদিকে, ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শোক ঘোষনা করেন। শনিবার সরকারি আধা সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এতে প্রধান উপদেষ্টা জানান, হাদির হত্যার সাথে যাদের নাম আসবে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি সবাইকে ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্বে নেবে রাষ্ট্র। এর আগে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। হাদির সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে তাদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে।