সাওম বা সিয়াম অর্থ হলো-বিরত থাকা, নিবৃত্ত থাকা। সিয়াম এর প্রচলিত নাম রোজা, এটি ফার্সি ভাষার শব্দ। এর অর্থ-জ্বালিয়ে দেওয়া, নির্বাপিত করা। সাওম মানুষের জৈবিক চাহিদা ও অন্তরের কু'রিপু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নির্বাপিত করে। এজন্য তাকে সাওম বলা হয়। ইসলামি পরিভাষায়, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সাওমের নিয়তে যাবতীয় অশ্লীলতা, ক্ষুধাবৃত্তি ও যৌন চাহিদা থেকে বিরত থাকাকে সাওম বলা হয়। প্রত্যেক জ্ঞান সম্পন্ন বালেগ মুসলিম নর-নারীর উপর রমাদ্বান মাসে সাওম পালন করা ফরজ। মানুষের ব্যক্তিগত মানসিক, শারীরিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাওমের সুফল ও প্রভাব অত্যন্ত কার্যকর। আল্লাহ বলেন, "আর তোমাদের সাওম পালন করা, তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে" (সুরা বাকারাহ-১৮৪)। পবিত্র কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা, কিয়াস দ্বারাও সাবস্ত্য যে, প্রত্যেক সুস্থ্য ও জ্ঞান সম্পন্ন বালেগ নর-নারীর উপর সালাতের ন্যায়, সাওম পালন করা ধনী, গরীব, সবার উপর অপরিহার্য কবর্ত্য বা ফরযে আইন।
সাওম ইসলামে একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরজ করেছেন। সাওমের মাধ্যমে বান্দা তার ক্ষুধা, তৃষ্ণা এবং বিভিন্ন খারাপ প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এটি শুধু খাদ্য বা পানীয় থেকে বিরত থাকার নাম নয় বরং আত্মসংযম, ধৈর্য্য, নৈতিক উন্নতি এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটি মাধ্যম। সাওম ফরজ হওয়ার বিষয়টি পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, "হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সাওম ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর" (সূরা-বাকারাহ-১৮৩)। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত এর মধ্যে একটি রমাদ্বান মাসে সাওম পালন করা" (সহীহ বুখারী-০৮)। সাওম ইসলামী বুনিয়াদী আমল, যার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জিত হয়।
তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় বান্দাকে গুনাহ, অনৈতিক আচরণ ও দুনিয়ার ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে বিরত রাখে। তাকওয়া অর্জনের সর্বোত্তম উপায় হলো, আল্লাহর আদেশ মেনে চলা, নিষেধ থেকে বিরত থাকা। আর নিয়মিত আল্লাহর ইবাদত করা। যেমন-নামাজ পড়া, সাওম পালন করা, কুরআন তেলাওয়াত করা, দান-সদকা করা, গরিব-অসহায়কে সাহায্য করা সহ যাবতীয় নৈতিক কাজের অংশ গ্রহন করা ইত্যাদি। মূলত তাকওয়া হলো- প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্ঠি ও সফলতা অর্জনের উদ্দেশ্য করা। আল্লাহ বলেন, "তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারে" (সূরা-মুমিন-৬১)। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "আল্লাহকে ভয় করা এবং মানুষের সাথে ভদ্র আচরণ করা, সর্বোত্তম তাকওয়া" (সুনান তিরমিজি-১৯৮৭)। সাওম মানুষের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রন করে এবং আল্লাহর ভীতি সৃষ্টি করে।
আত্মসংযম ও নৈতিকতার মাধ্যম হলো- সাওম। সাওমের মাধ্যমে মানুষ ক্ষুধা, তৃষ্ণা, লোভ, ক্রোধ ও অন্যান্য অশুভ আচরণ নিয়ন্ত্রন করতে পারে এবং চরিত্র পরিশোধিত করে। আত্মসংযমের চর্চা কেবল ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, বরং সমাজে সুস্থ্য ও নৈতিকতা বজায় রাখতে সাহায়তা করে। আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয়ই সে সফল হয়েছে, যে আত্মাকে পবিত্র করেছে" (সুরা আশ শামছ-০৯)। আল্লাহ আরো বলেন, "তোমরা খাও এবং পান কর কিন্তু অতিরিক্ত ব্যয় বা অপব্যবহার করো না" (সুরা-বাকারাহ-১৮৩)। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি সাওম রাখে, সে যেন মিথ্যা ও অশালিন আচরন থেকে বিরত থাকে" (সহীহ বুখারী-১৯০৩)। রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেন, "যদি কোন ব্যক্তি সাওমের দিনে অশালীন কথা বলে বা ঝগড়া করতে চায়, সে যেন বলে, আমি সাওম পালনকারী" (সহীহ বুখারী-১৮৯৪)। সাওম পালনকারী আত্মসংযমের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে।
সাওম মানুষের শারীরিক ও মানসিক পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম ইবাদত। যা নফসের কুপ্রবৃত্তি দমন করে ও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে এবং দেহকে শৃঙ্খলিত করে। দীর্ঘ সময় আহার ও পানাহার থেকে বিরত থাকার ফলে শরীর বিশ্রাম পায় এবং স্বাস্থ্যগত উপকার সাধিত হয়। আল্লাহ বলেন, "তোমাদের মধ্যে যে রমদ্বান মাস পায়, সে যেন সাওম পালন করে" (সুরা বাকারাহ- ১৮৫)। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি সাওম পালন করে, মিথ্যা কথা ও অসৎ কাজ পরিত্যাগ করে না, আল্লাহর কাছে তার ক্ষুধার্ত ও পিপাস্বার্থ থাকার কোন প্রয়োজন নেই " (সহীহ বুখারী- ১৯০৩)। রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেন, "শয়তান মানুষের রক্তনালিতে প্রবাহিত হয়, আর সাওম তার পথ সংকীর্ণ করে দেয়" (সহীহ বুখারী- ২০৩৮)। সাওম পালনকারী শারীরিক ভাবে রোগ মুক্ত হয় এবং মানষিক প্রশান্তি লাভ করে।
বিরামবিহীন আল্লাহর একান্ত ইবাদত হলো-সাওম। কারণ এটি এমন একটি আমল যা মানুষের দৃষ্টির আড়ালে সম্পাদিত হয় এবং একমাত্র আল্লাহই এর প্রকৃত স্বাক্ষী। মানুষ চাইলে গোপনে সাওম ভেঙ্গে ফেলতে পারতো কিন্তু আল্লাহর ভয়ের কারণে তা করেনি। মানুষ যা কিছু করে সব কিছু আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য করে। আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয়ই আমার সালাত আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মৃত্যু সব কিছু আল্লাহর জন্য। যিনি সকল জাগতের মালিক" (সুরা আনআম-১৬২)। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ বলেন, "আদম সন্তানের প্রতিটি আমন তার নিজের জন্য কিন্তু সাওম আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দিবো” (সহীহ বুখারী-১৯০৪)। সাওম পালনকারীর প্রতিদান আল্লাহ নিজেই দিবেন।
সাওম মানুষের গুনা মাপ করিয়ে দেওয়ার একটি মহিমান্বিত ইবাদত। যা আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। সাওমের মাধ্যমে মানুষ আন্তরিক তওবা ও আত্মসংযমের পথে আগ্রসর হয়। ফলে আল্লাহর তার পূর্বের পাপ সমূহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ বলেন, "আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার গুনা সমূহ মোচন করে দেন” (সুরা তালাক- ০৫)। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ইমান ও সওয়াবের আশায় রমাদ্বানে সাওম পালন করে, তার পূর্বের গুনা সমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়" (সহীহ বুখারী-৩৮)। সাওম বান্দার আত্মাকে গুনাহ থেকে পরিশোদ্ধ করে এবং আল্লাহ নৈকট্য লাভের পথ সুগম করে। সাওম পালনকারীর সকল ইবাদত আল্লাহ তায়ালা কবুল করে থাকেন। সাওম পালনকারী ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা বিশেষ ভাবে কবুল করেন। আল্লাহ বলেন, "তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেই” (সুরা গাফির-৬০)। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "সাওম পালনকারীর জন্য ইফতারের সময় একটি দোয়া রয়েছে, যা প্রত্যাখ্যান করা হয় না" (ইবনে মাজাহ- ১৭৫৩)। সাওম পালন করার মাধ্যমে বান্দার দোয়া কবুলের একটি উত্তম মাধ্যম। পবিত্র রমাদ্বান কোরআন নাজিলের মাস। এই মাসে এমন একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। বান্দা যদি এই রাত্রে ইবাদত বন্দেগী করে, আল্লাহ তায়ালা হাজার মাসের নেকি দান করবেন। এই রাত হলো কদরের রাত, যা রমাদ্বান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রে সংগঠিত হয়। যেমন, শেষ দশকের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অধিকাংশ মুফাচ্ছিরগণ ২৭ তারিখে কদরের রাত বলে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তায়া'লা বলেন, "কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম" (সুরা আল কদর-০৩)। আর রাসুল (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি ইমান ও সাওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে ইবাদত করে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়" (সহীহ বুখারী- ১৯০১)। রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেন, "তোমরা রমাদ্বানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো" (সহীহ বুখারী- ২০১৭)।
রমাদ্বান মাসকে বলা হয় রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। প্রথম দশ দিনে সাওম পালনকারীর প্রতি আল্লাহ বিশেষ রহমত নাজিল করেন। দ্বিতীয় দশ দিন সাওম পালনকারী আল্লাহ বিশেষ ক্ষমা প্রাপ্ত হন এবং মানুষের অপরাধের তাওবা কবুল করেন। শেষ দশ দিনে আল্লাহ জাহান্নামী বান্দাদের আজাব থেকে নাজাত দান করেন। আল্লাহ বলেন, "রমাদ্বান মাসে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ করেন, যা মানুষের জন্য হেদায়াত" (সুরা বাকারাহ-১১৫)। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "রমদ্বানের প্রথম দশ দিন রহমত, মধ্যের দশ দিন মাগফিরাত, শেষ দশ দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি" (শুয়াবুল ইমান- ৩৩৩৬)। রাসুল আরো বলেন, "যখন রমাদ্বান মাস আসে জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। (সহীহ বুখারী-১৮৯৯)। সাওম পালনকারী ব্যক্তি রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত লাভ করে।
সাওম কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে। দুনিয়াতে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আন্তরিক ভাবে সাওম পালন করবে, কিয়ামতের দিন সেই সাওম আল্লাহ সাথে কথা বলবে। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "সাওম বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি তাকে দিনে খাবার ও কুপ্রবৃত্তি থেকে বিরত রেখে ছিলাম। অতএব আমার সুপারিশ তার জন্য কবুল করুন" (মুসনাদে আহমদ-৬৬২৫)। রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেন, "কিয়ামতের দিন সাওম ও কুরআন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে" (মুসনাদে আহমদ-৬৬২৬) সুতরাং- যে ব্যক্তি ইমানের সাথে আল্লাহর ভয়ে সাওম পালন করবে, তার জন্য সাওম কিয়ামতের দিন রহমত ও মুক্তির সুপারিশকারী হিসেবে কাজ করবে। সাওম একজন মুমিনের জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকারী ঢাল স্বরূপ। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য সাওম পালন করলে মানুষ নিজের কুপ্রবৃত্তি ও কুপ্রবণতাকে দমন করতে পারে। ফলে সে ব্যক্তি গুনা থেকে দূরে থাকে এবং নেক আমলের দিকে দাবিত বা অগ্রসর হয়। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, সাওমকে ঢালের সাথে তুলনা করা হয়েছে কারণ ঢাল যেমন যুদ্ধের ময়দানে শুক্রর আঘাত থেকে রক্ষা করে, তেমনি সাওম মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে" (সহীহ বুখারী-১৯০৪)। রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেন, "যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন সাওম পালন করবে, আল্লাহ তার ও জাহান্নামের মাঝে সত্তর বছরের দূরত্ব সৃষ্টি করে দিবেন" (সহীহ মুসলিম-১১৫৩)। সাওম পালন করার মাধ্যমে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সাওম পালন শুধু আত্মসংযমের ইবাদত নয় বরং জান্নাত লাভের বিশেষ মাধ্যম। সাওম পালনকারী ব্যক্তির যাবতীয় অন্যায় থেকে নিজেকে রক্ষা করে আল্লাহর ইবাদত করেছে। এজন্য আল্লাহ তায়ালা সাওম পালনকারীকে কিয়ামতের দিন একটি বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের জন্য জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন” (সুরা আলে ইমরান-১৩৩)। তিনি আরো বলেন, "নিশ্চয়ই সাওম পালকারীরা থাকবে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে" (সুরা ইনফিতাহ-১৩)। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "জান্নাতের একটি দরজা আছে, যার নাম "রাইয়ান"। কিয়ামতের দিন সেই দরজা দিয়ে শুধু সাওম পালনকারীরাই প্রবেশ করবে” (সহীহ বুখারী-১৮৯৬)। রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেন, "আর রমাদ্বান মাস হলো ধৈর্য্যের মাস এবং ধৈর্যের বিনিময় হচ্ছে জান্নাত" (শুয়াবুল ইমান- ৩৩৩৬)। সাওম পালনকারী কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই পালন করে থাকে। এতে লোক দেখানোর ইচ্ছা থাকে না। পবিত্র রমাদ্বান মাসে মিথ্যাচার ও গীবতের অভ্যাস ত্যাগ করে। কারো সাথে ঝগড়া-ফাসাদ করে না। ফলে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালবাসা লাভ করে। আল্লাহ্ হাদীসে কুদসিতে বলেন, "আদম সন্তানের প্রতিটি নেক আমল দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়, শুধু সাওম ব্যতিত। নিশ্চয় সাওম আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব" (সহীহ বুখারী- ১৯০৪)। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "সাওম পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দ, একটি হলো ইফতারের সময় আর অপরটি হলো আল্লাহর সাথে স্বাক্ষাতের সময়" (সহীহ মুসলিম-১১৫১)। সাওমের সওয়াবের পরিমাণ আল্লাহ নিজেই নির্ধারন করবেন। পরিশেষে বলা যায় যে, সাওম শুধু উপবাস থাকাই নয়, এটি তাকওয়া অর্জন, আত্মসুদ্ধি, গোনাহ মাফ, দোয়া কবুল, জান্নাত লাভও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক অনন্য ইবাদত। সুতরাং প্রত্যেক জ্ঞান সম্পন্ন বালেগ নর-নারী পবিত্র রমাদ্বান মাসে সাওম পালন করা আবশ্যক ও কর্তব্য।
লেখক- প্রভাষক, (ইসলাম শিক্ষা)
আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
মোবাইল: ০১৭১২১৫০৬৬৪