নবীগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবকের ১১ দিন পর মৃত্যু
তারিখ: ৩০-ডিসেম্বর-২০২৫
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

 নবীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার ১১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আমান উদ্দীন (২৫) নামের এক যুবক। নিহত আমান উদ্দীন উপজেলার ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের পুত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের খলিলপুর ও সীমেরগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে হান্নান মিয়ার বাড়ির কালভার্টের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা রামদা, চাপাতি, শাবল, ক্রিজসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এবং তাকে বেধড়ক কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এমনকি ‘ডিল মেশিন’ দিয়ে তার পায়ে ছিদ্র করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ৬দিন আইসিইউতে ছিলেন। পরবর্তীতে বেডে ট্রান্সফার করার পর গতকাল রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) আড়াইটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের ভাই জয়নাল জানান, জসিম মেম্বারের নেতৃত্বে ডোবা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি- পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। নিহতের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং স্থানীয়রা বিচার দাবি করছেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে পুলিশের তৎপরতা চলমান রয়েছে।