বাহুবলের একটি মারামারির মামলায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় বাদী ও আসামি উভয়পক্ষকেই কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ এই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বাহুবল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ইন্তাজ মিয়ার ছেলে আমির হোসেন, একই গ্রামের মফিজ উল্লার ছেলে আব্দুল হাইদ ও ফরিদ মিয়া এবং ফরিদ মিয়ার ছেলে নুরুজ্জামান মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট নোয়াগাঁও গ্রামের আমির হোসেন ও মফিজ উল্লার মধ্যে মারামারি হলে আমির হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। গত বছরের ১৩ অক্টোবর সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার কথা। কিন্তু সেদিন বাদীর শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে সাক্ষী হাজির করা সম্ভব হয়নি বলে আদালতকে জানানো হয়। এ সময় আসামিপক্ষ দাবি করে যে, বাদীর শাশুড়ি মারা গেছেন আরও তিন বছর আগে। দুই পক্ষের দুই রকম তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে আদালত এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বাহুবল মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশের তদন্তে প্রমাণ হয় যে বাদীর শাশুড়ি এখনও জীবিত। ফলে উভয়পক্ষের দেওয়া তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এরপর মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মামলার রায়ে বাদী আমির হোসেনকে তিন দিন ও আসামি আব্দুল হাইদ, ফরিদ মিয়া ও নুরুজ্জামান মিয়াকে একদিন করে কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।