ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী বলেন, ইসলাম বিরোধী সিলেবাসে প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এর বিরোদ্ধে রুখে দাড়ানো ঈমানী দায়িত্ব।
ইসলাম বিরোধী বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর সমাজ বিজ্ঞান বইয়ে নগ্ন ছবি, মূর্তিসহ ডারউইনের বিবর্তনবাদ ও হিন্দুত্ববাদ সংযোগ করে মুসলিম সন্তানদের নাস্তিক ও পৌত্তলিক বানানোর চক্রান্ত চলছে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রন্ধ্রে-রন্ধ্রে নাস্তিক্যবাদী একটি মহল ঘাপটি মেরে বসে আছে। ৯২ ভাগ মুসলমানদের বাংলাদেশে ইসলাম প্রিয় তাওহিদী জনতা ইসলাম বিরোধী এই সিলেবাস কিছুতেই মেনে নেবে না। অবিলম্বে ঈমান বিধ্বংসী সিলেবাস বাতিল করতে হবে। আল্লামা ওলীপুরী বলেন যে, আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন মানুষকে অতি সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন, যার বিবরণ পবিত্র কুরআন মাজীদে রয়েছে। পৃথিবীর প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী হযরত আদম আ.। সেই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে মানুষ চলে এসেছে। এখন ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের শিক্ষা সিলেবাসে মানুষ বানর থেকে সৃষ্টি হয়েছে এমন শিক্ষার অর্থ কি? তাহলে বুঝা যায় মানুষ আগে বানর ছিল, সে হিসেবে মানুষ বানরের জাতি।
গত ২৩ জানুয়ারী রোজ সোমবার ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরীর সভাপতিত্বে ও ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সালেহ সা‘দীর পরিচালনায় এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আব্দুল বারী আনসারী, মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা লোকমান ছাদী, হাফিজ মাওলানা ফজলুল করীম ফেরদাউস, মাওলানা আব্দুল খালিক চলিতাতলী, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা আজিজুর রহমান মানিক, ব্যকস সভাপতি আলহাজ্ব শামছুল হুদা, আলহাজ্ব মুহিবুদ্দিন আহমদ সুহেল, মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা আব্দুল বছির প্রমূখ।
ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সালেহ সা‘দী বলেন, সিলেবাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিতর্ক হচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণীর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ডারউইনের তত্ত্ব শিখানো নিয়ে। ইসলাম বিরোধী এই তত্ত্ব ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলনী বইয়ের ১১৪ ও ১১৫ পৃষ্ঠায় ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে মানুষ আগে বানর ছিল, আর সেখান থেকেই কালের বির্বতনে ধাপে-ধাপে মানুষে রূপান্তরিত হয়েছে। জনাব আবু সালেহ সা‘দী আরোও বলেন, নতুন সিলেবাসে প্রচীন সভ্যতার নামে মূর্তি, হিজাব বিহীন মেয়েদের ছবি, গান-বাজনা, হারমোনিয়াম, তবলা, গিটার, খেলাধুলাসহ মোবাইল ব্যবহারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছ। বিজ্ঞানের নামে নগ্ন ছবি, কুকুরের ছবি, সভ্যতার নামে উলঙ্গ ও অর্ধ উলঙ্গ মূর্তির ছবি ব্যাপকভাবে স্থান পেয়েছে। বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ণকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় সারা দেশের ঈমানদার মুসলমানদের হৃদয়ে আগুনের দাবানল দাউদাউ করে জ্বলে উঠবে।