জনগণকে নিয়ে বিএনপি রাজপথে নামলে আ.লীগ পতন ঠেকাতে পারবে না
তারিখ: ৯-জুন-২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার \

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট এবং দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারকে দেশের মানুষ আর এক মুহূর্তের জন্যও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণকে নিয়ে বিএনপি রাজপথে নামলে আওয়ামীলীগ তাদের পতন ঠেকাতে পারবে না।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে লাখাই উপজেলার ৫নং করাব ইউনিয়ন বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও দেশবিরোধী আওয়ামীলীগের চক্রান্ত প্রতিহত করতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এই আন্দোলনে আমাদেরকে বিজয় নিশ্চিত করতেই হবে। তা না হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটের অধিকার চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে।
তিনি বলেন- দেশ নায়ক তারেক রহমান তৃণমূলের মাঠের কর্মীদেরকে মূল্যায়ন করতে শুরু করেছেন। যার কর্ম ভালো দলে তার অবস্থান ভালো। অতীতে যারা তদবির করে পদ পদবী নিয়েছিলেন কিন্তু খালেদা জিয়ার জেলে, অথচ তার হৃদয় কাঁদে না, বিচলিত হয় না, তার সাথে দলের কোন সম্পর্ক থাকবে না। মনে রাখতে হবে ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। যদি কেউ মনে করেন দলের উপরে ব্যক্তির অবস্থান তাহলে দলের নেতৃত্বে থাকা যাবে না। দলকে ভালোবাসলে, দেশকে ভালোবাসলে জাতির এই ক্লান্তিকালে সকলকে রাজপথে নামতেই হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি, মানুষের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ফায়সালা রাজপথেই হবে ইনশাআল্লাহ।
লাখাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ মো. ফরিদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক হাজী এনামুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, বিএনপি নেতা আবু তালিব খান, তাজুল ইসলাম মোল্লা তাজ, লাখাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছু উদ্দিন আহমেদ, ফারুক আহমেদ, করাব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মারুফ আহমেদ বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মুহিবুল হাসান, মোক্তাদির তালুকদার, হাজী জানে আলম, হাজী ফারুক আহমেদ, মুশিউর রহমান চৌধুরী সাচ্চু, ফজলে রাব্বি, শফিকুল ইসলাম শাবাল, পারভেজ হাসান, সাইদুর মেম্বার, আক্তার মিয়া, বর্জু মেম্বার, আ: নুর, লেদু মিয়া, মিয়া হোসেন, মোসারফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, পারুল, আব্দুল খালেক, আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী, শহিদ উজ্জামান, আবুল বাশার, শহিদুর রহমান, লোক্কু মিয়া, আ: হান্নান, আবিদ আলী, হারুন মিয়া, খলিলুর রহমান, হাজী আহাদ, জাহাঙ্গীর, বাচ্চু মেম্বার, আওয়াল, মোহাম্মদ আলী, জাকির মিয়া, রবিউল হোসেন রবি, সালমান, মুহিউদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, আব্দুল মন্নান, সেলিম য়িমা, রিপন মিয়া, শাহাদ মিয়া, করিম, সাইকুল, জহির উদ্দিন, জানু, তাউছ মিয়া, ইকবাল, শাহ নেওয়াজ, নাছু মিয়া  জিলু মিয়া চৌধুরী, এনু মিয়া, মাসুক মিয়া, ইদন মিয়া, গফুর, মজনু, ফজল, ইলিয়াছ, শরীফ প্রমুখ।