অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে স্মারকলিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শহরের সিনেমা হল এলাকায় বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিপিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ।
অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে জি কে গউছ বলেন- ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নাই গরমে মানুষ দিশেহারা। জনগণ তো বিদ্যুৎ বিলের টাকা বাকি রাখে নাই তা হলে কয়লার টাকা বাকি কেন? সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের কারণেই সরকার কয়লা-গ্যাস কিনতে পারে না। আওয়ামীলীগ সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই লোডশেডিং।
অসহনীয় লোডশেডিং বন্ধ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবী জানিয়ে জি কে গউছ বলেন- বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমরা যারা বিএনপি করি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। বাংলাদেশের জনগণের উপর যখনই কোনো বিপদ এসেছে বিএনপি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে আওয়ামীলীগ যখন নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছে তখনই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজের জীবনকে বিপন্ন করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন, বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে যখন দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছিল, তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজের জীবনবাজি রেখে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত্রের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেছিলেন। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে আবারও দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। সেই সময় একজন গৃহবধূ থেকে বেগম খালেদা জিয়া দেশকে বাঁচাতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি রেখে ৯ বছর স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। সেই নেত্রী যাতে জনগণের দাবী নিয়ে রাজপথে নামতে না পারে সে জন্য আওয়ামীলীগ সরকার কৌশলে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। উনার সুযোগ্য পুত্র দেশনায়ক তারেক রহমান লন্ডন থেকে বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে, অসহনীয় লোডশেডিং বন্ধ করতে জনগণের পক্ষে কথা বলছেন।
এই কর্মসূচি পালনকালে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, হাজী এনামুল হক, সদস্য এম জি মোহিত, মহিবুল ইসলাম শাহীন, শামছুল ইসলাম মতিন, মুজিবুর রহমান সেফু, নকীব ফজলে রকিব মাখন, আবুল কালাম মাষ্টার, মুখলিছুর রহমান, লিটন আহমেদ প্রমুখ।
সদর উপজেলা বিএনপি ঃ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক আজিজুর রহমান কাজল, যুগ্ম আহŸায়ক আজম উদ্দিন, এডভোকেট আফজাল হোসেন, হাবিবুর রহমান, হাজী জুলমত মিয়া, মস্তুফা মিয়া, কাজী শামছু মিয়া, এস এম মানিক, শিপন আহমেদ আছকির, কামাল চৌধুরী, ফরিদুজ্জামান ফরিদ, মজনু তালুকদার, নুরুল আলম সেলিম, মাসুক মিয়া, ইদ্রিস আলী, আরব আলী, ফজলু মিয়া, মুরাদ মিয়া, দরস আলী, আব্দুল কাদির, দুলাল মিয়া, শাহিদ মিয়া প্রমুখ।
হবিগঞ্জ পৌর বিএনপি ঃ হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, সাধারণ সম্পাদক এস এম আওয়াল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজ আহমেদ রিপন, ফজলুল হক সজলু, আব্দুল কাইয়ুম মেরাজ, শাহ মুশলিম, আব্দুল আওয়াল মজনু, মাহবুবুল আলম মান্না, কামাল খান, মামুন আহমেদ, সাহেব আলী, হারিস মিয়া, আনিসুজ্জামান জেবু, ইকবাল আহমেদ,সাজিদ মিয়া, বাদল মিয়া, আবুল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী বকুল, রুহুল আমিন, জয়নাল আবেদিন, শাহান আহমেদ, আব্দুল আহাদ মনা, সফিক মিয়া, সালাম মিয়া, আব্দুস সালাম, আলকাছ মিয়া, আলী আকবর, ইলিয়াছ মিয়া প্রমুখ।
যুবদল ঃ হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গুলজার খাঁন, দুলাল মিয়া, নজরুল ইসলাম কাওছার, রবিউল আলম রবি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু আহমেদ, মুর্শেদ আলম সাজন, অলিউর রহমান অলি, শেখ মোঃ মামুন, নরোত্তম দাস, সাদেকুর রহমান লিটন, নাসির উদ্দিন আফরোজ প্রমুখ।
শ্রমিকদল ঃ জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রতন আনসারী, কাজল মেম্বার, আশরাফুল আলম সবুজ, শেখ রহমত আলী, লিটন মিয়া, নাসির মিয়া, মাষ্টার আইরুল ইসলাম প্রমুখ।
স্বেচ্ছাসেবক দল ঃ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, আব্দুল কাইয়ুম, শেখ মুখলিছুর রহমান, আব্দুল আহাদ আনসারী, সৈয়দ রুহেব আহমদ, আজিজুল ইসলাম হৃদয় প্রমুখ।
মৎস্যজীবি দল ঃ হবিগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, তাজুল ইসলাম, ইউসুফ মিয়া, আব্দুল হান্নান মিয়া, কাজল মিয়া, নুর মিয়া প্রমুখ।
মহিলা দল ঃ জেলা মহিলাদলের সভাপতি এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, সহ সভাপতি নুরজাহান বেগম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা প্রমুখ।
জাসাস ঃ জেলা জাসাসের আহŸায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, এমদাদুল হক লিটন, তোফাজ্জুল হক, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নুরে আলম।
কৃষক দল ঃ জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহŸায়ক আবু ছালেক প্রমুখ।
ছাত্রদল ঃ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহবুব, সাইফুল ইসলাম রকি, আল আমিন তালুকদার, সৈয়দ আশরাফ আহমেদ, রুমেল খান চৌধুরী, এহসানুল হক মাহি, মশিউর রহমান টিপু, কাওছার মিয়া, রফিকুল ইসলাম, এহসানুল হক ইমরান, ফাইজুল ইসলাম ইব্রাহিম, মোজাক্কির হোসেন ইমন, মোশাররফ হোসেন রনি প্রমুখ।
তারেক পরিষদ ঃ জেলা তারেক পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান কুটি, জাকির হোসেন প্রমুখ।