আজ ১৮ সেপ্টেম্বর লাখাই উপজেলার কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হাওর এলাকার অবহেলিত কৃষ্ণপুর গ্রামে নৃশংস হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ১২৭ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। পঙ্গুত্ব বরণ করে এখনও বেচে আছেন আরও অন্তত ১৫/২০ জন। নিহত ১২৭ জনের মধ্যে পরিচয় পাওয়া ৪৫ জনের নামে একটি স্মৃতিস্বম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও নিহত এ ৪৫ জনের নাম শহীদদের তালিকায় স্থান পায়নি।
ঐতিহাসিক কৃষ্ণপুর দিবস উপলক্ষে সেখানকার বধ্যভূমিতে এলাকাবাসী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় পুস্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার। কৃষ্ণপুরের পার্শ্ববর্তী চন্ডিপুর। ১৬টি বাড়ি ছিল সেখানে। ৭১ সালে পাক বাহিনী সবকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এখন সেখানে একটি পুকুর রয়েছে। গ্রামের ছিটেফুটাও নেই।
স্থানীয়রা জানান, খেলু রাজাকার ও লাল খা রাজাকার মিলিত হয়ে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে অবস্থানকারী পাক বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে কৃষ্ণপুর গ্রামের ১২৭জনকে হত্যা করে। অষ্টগ্রামের পাক সেনারা কৃষ্ণপুর গ্রামে ভোর বেলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা লাখাই উপজেলায় অবস্থানকারী পাক সেনারা বা শান্তি কমিটির কেউ জানত না। কৃষ্ণপুরের গণহত্যার জন্য দায়ী করা হয় মুড়াকরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীকে। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যালে মামলা হয়েছে। চলছে স্বাক্ষ্য গ্রহণ। এরই মধ্যে গোপনে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছেন লিয়াকত আলী। এলাকাবাসী লিয়াকত আলীকে দেশে এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবী জানান।