ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবৈধ বালুর স্তুপের কারণে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বাহুবল উপজেলার মিরপুর এলাকার বশিনা, হাফিজপুর সড়কের উত্তর পাশে অবৈধ ভাবে বালু রাখার ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এছাড়াও লস্করপুর-আদ্যপাশা এলাকায় মহাসড়ক দখল করে অবৈধ বড় একটি বালুর ডিপু তৈরি করে এস্কেভেটর দিয়ে বালু বিক্রি করে আসছে অসাধু বালু সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এতে সড়কের পাশ দিয়ে হাটাচলাতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ পথচারীদের। গতকাল রবিবার দুপুরে সরেজিমেন দেখা যায়, মিরপুর বাজার থেকে প্রায় ১কিলোমিটার পশ্চিমে ও শায়েস্তাগঞ্জের নতুনব্রীজ থেকে প্রায় ২শ মিটার পূর্বে মহাসড়কের উত্তর পাশের বিভিন্ন স্থান দখল করে অবৈধ ভাবে অনুমোদনহীন ডিপু তৈরি করে বালু রাখা হয়েছে। অবৈধভাবে মহাসড়কের পাশে ট্রাক দাড় করিয়ে বালু লোড-আনলোড করা হচ্ছে। এতে একদিকে বালুর স্তুপ অন্যদিকে সড়কের পাশে ট্রাক দাড় করিয়ে বালু লোড-আনলোড করায় সড়ক দিয়ে বড় যানবাহন চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘মিরপুর এলাকার জুয়েল, আলমগীর, দুলাল ও শায়েস্তাগঞ্জের রাসেল মিয়া প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন ধরে ওইসব অবৈধ বালুর ডিপু তৈরি করে এস্কেভেটর বিভিন্ন গাড়ী লোড দিয়ে বালু বিক্রি করে আসছেন’। তারা জানান, মহাসড়কের ওপর থাকা বালুর যানবাহনের আগ্রাসনের কারণে বিশেষ করে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল চালকসহ স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। দুইপাশ থেকে দুটি বাস বা ট্রাক আসলে সাইকেল আরোহীরা সড়কের নিচে তাদের সাইকেল নামিয়ে বালুর মধ্যে চালাতে গিয়ে তারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এরকম কোন কাজ করা যাবে না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, মহাসড়কের পাশে অবৈধ বালু রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে যদি অবৈধভাবে বালু রাখা হয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।