বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মক্রমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া, তার ভাই জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আশিক মিয়াসহ ২১ জনের জেলা প্রশাসকের বরাবর সরকারি গাছ চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল এ অভিযোগটি দায়ের করেন নয়াপাথারিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে মৃত মঞ্জুব আলী ছেলে ফরিদ মিয়া। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়ার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা শাহিদ মিয়া, জাহির মিয়া, কাদির মিয়া, কবির মিয়া। আশিক মিয়ার ছেলে মোতাব্বি মিয়া, আবদাল মিয়া, জাহেদ মিয়া, ডিবজল মিয়া, কবির মিয়া ছেলে আরিফ মিয়া, নুর আলীর ছেলে খেলু মিয়া, হৃদয় মিয়া, সামায়ূন মিয়া, আব্দুর রহমানের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, আনু মিয়ার ছেলে দরছ মিয়া, আতাব আলীর ছেলে মন্নর আলী, সিপাই মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম, তানিছ মিয়ার ছেলে ধন মিয়া, সঞ্জব আলীর ছেলে আয়াত আলী ও আয়াত আলীর ছেলে গউছ মিয়া।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন অভিযুক্তরা আওয়ামীলীগ এর অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের সাথে জড়িত। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। জোর পূর্বক সরকারি ও মালিকাখানা জায়গা দখল, টমটম, সিএনজি স্ট্যান্ড দখলসহ খোয়াই নদী থেকে অবৈধ ভাবে মাটি ও বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানিসহ পেশী শক্তি প্রয়োগ করতেন তারা। গত বছরে হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়কের নয়াপাথারিয়া, নখলারআব্দা স্থান পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশ থেকে অর্ধশতাধিক সরকারি গাছ কেটে নিয়েছেন তারা। গত ৩১ জুলাই নয়াপাথারিয়া গ্রামের রুবেল মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তার দু’পাশ থেকে বড় বড় ৩টি করস গাছ কেটে নেয় অভিযুক্তরা। যার মূল্য দেড় লাখ টাকা হবে। ওই গাছ কাটার ফলে এলাকার পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি পরিবহন চলাচলে নিরাপত্তা মারাত্মক ভাবে বিঘিœত হচ্ছে। ৫ বছরে অভিযুক্তরা ওই সড়ক থেকে কয়েক লাখ টাকার সরকারি গাছ চুরি করেন। অভিযুক্তরা এলাকায় যেমন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও ছাত্রদের দমন করার জন্য হবিগঞ্জ শহরে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। তাদের দেশী ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা আন্দোলনকারীরা আহত ও নিহত হয়েছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগের পতনের পর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকলেও সম্প্রতি তারা এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এমতাবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি জেলা প্রশাসকসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি কামনা করেন অভিযোগ দায়েরকারী ফরিদ মিয়া।