আজমিরীগঞ্জে দুই চেয়ারম্যানের লোকজনের সংঘর্ষে আহত ৫০
তারিখ: ২৪-জুলাই-২০২৪
সেন্টু আহমেদ জিহান, আজমিরীগঞ্জ \


 আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রায় ৩০ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের দেয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা। সোমবার দুপুরে পশ্চিমভাগ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমভাগ গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুলু মিয়া ও একই এলাকার মলাই মিয়ার মধ্যে বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয় রোববার সন্ধায়। এরই জেরধরে উল্লেখিত সময়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সোমবার সকালে বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের কাছে যান স্থানীয় মুরুব্বিসহ সালিশানরা। উভয় পক্ষের কাছে সালিশের সময় নেয়ার পরপর সালিশানরা চলে গেলে ফের দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। আর এতে দুলু মিয়ার পক্ষ নেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদার ও মলাই মিয়ার পক্ষ নেন বর্তমান চেয়ারম্যান নলিউর রহমান তালুকদার। সংঘর্ষের সময় ভাংচুর করা হয় বাড়ি ঘর। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ বলেন, দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয়াধি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বাচ্ছাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে তারা ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মুরাদপুর এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার \ বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন মহসিনের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিমতলায় এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন মহসিনের এমপিও নেই, তিনি বিএড’ও করেননি। জালিয়াতি করে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। তিনি 
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময় প্রায় ২০ লাখ টাকা বিভিন্ন খাত থেকে আত্মসাত করেছেন।
শিক্ষকরা বলেন, তিনি বিদ্যালয়ে প্রভাব দেখিয়ে শিক্ষকের বেতন গত জুলাই মাস থেকে বন্ধ রাখেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের অংশের বেতনও শিক্ষকদের ২৮ থেকে ৪৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ অযোগ্যতা উল্লেখ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৪ এপ্রিল তাকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু সভাপতি ওই শিক্ষকের আত্মীয় থাকায় তিনি এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করেননি। তিনি প্রধান শিক্ষকের অপরাধ আড়াল করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানসিক নির্যাতন ও হয়রানী শুরু করেন। তার নিয়োগ অযোগ্যতার কারনে এমপিও ফাইল বহুবার রিজেক্ট হয়েছে। তিনি প্রায়ই বলেন, আমিতো এমপিও ভ‚ক্ত হতে পারবো না, বিদ্যালয়কে ধ্বংস করে ফেলব। কর্তৃপক্ষ আমার কি করবে?। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের ওয়াসরুম অনুপযোগি, খাবার পানি, শ্রেণী কক্ষে বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা নেই, কাগজ-কলম, মার্কার কোন কিছুর ব্যবস্থা নেই। পড়াশুনা করার মত উপযুক্ত পরিবেশ নাই। টাকা উত্তোলন করে তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা সংক্রান্ত কোন উপকরণ সরবরাহ করেননি। পরে মানববন্ধন শেষে তারা জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। 
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট তকবির মোহাম্মদ জনাব, ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, চৌধুরী আক্তার শফিক, মাওলানা গাউস চৌধুরী, সিকান্দার চৌধুরী, তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, শাহ সজিবুল ইসলাম, তৌহিদ মিয়া চৌধুরী, সঞ্জব আলী, সেলিম চৌধুরী, বিলাল চৌধুরী, এয়াউর রহমান চৌধুরী, গুনি মিয়া চৌধুরী, রিপন কুমার দাশ, উসমান ফারুক, গিয়াস উদ্দিন, সোহেল আহমেদ, রিতা চৌধুরী, মিনজু আক্তার, মাহিন চৌধুরী প্রমূখ।

প্রথম পাতা