বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- আওয়ামীলীগ মানুষের প্রতি অনেক অন্যায় করেছে, জুলুম করেছে, মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করেছে, সেবার নামে দুশমনি করেছে। কিন্তু জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে প্রমাণ করবো আওয়ামীলীগ আর বিএনপি এক নয়, তুমি অধম হলে আমি উত্তম হব না কেন। তিনি গতকাল সোমবার বিকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির গণদোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মহান শহীদদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন- অনেক শে¬াগান দিয়েছেন, আর শে¬াগান নয়। কথা কম কাজ বেশি। ভালো কাজ দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিজেরা পাপ করবো না, অন্যকে পাপ কাজে সহায়তা করবো না। জি কে গউছ বলেন- নিজামপুরের মাটি বিএনপির ঘাটি, যার প্রমাণ আজকের গণদোয়া মাহফিলে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি। এই এলাকায় আওয়ামীলীগ অনেক অন্যায় করেছে, জুলুম করেছে, মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে। কিন্তু তারপরও এই এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো প্রতিহিংসায় লিপ্ত হয়নি, কাউকে হয়রানী করেনি, বরং আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি ভালোবাসার হাত স¤প্রসারিত করেছে। এটাই বিএনপি, এটাই আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা।
নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মজনু তালুকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণদোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক হাজী এনামুল হক ও কামাল উদ্দিন সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক আজিজুর রহমান কাজল, যুগ্ম আহŸায়ক শামছুল ইসলাম মতিন, জেলা যুবদলের আহŸায়ক জালাল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, এডভোকেট সৈয়দ জাদিল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহŸায়ক মিজানুর রহমান সুমন।
উপস্থিত ছিলেন নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন, সাবেক আহŸায়ক জব্বার মেম্বার, সহ সভাপতি সালেহ আহমেদ ও কাজল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নানু মিয়া ও কিতাব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুক মিয়া, কাজল মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুল আহাদ, আব্দাল মিয়া, আব্দুল জলিল, গিয়াস মেম্বার, খলিল মিয়া, আব্দুল আউয়াল, জিতু মিয়া, মামুন মিয়া, মকসুদ, সৈয়দ সোহেল, নুর মিয়া, বদরুল আলম রোমান, রানা তালুকদার, কাজল মিয়া, হাজী ফুল মিয়া, শামীম মেম্বার, আব্দুর রউফ মতিন, সাহেব আলী, মহিবুর তালুকদার, নুর ইসলাম, নোমান, সফিক মিয়া, এখলাছ মিয়া, ছনু মিয়া, জহিরুল ইসলাম, শামীল, শোয়েব, আব্দুল খালেক, সোহেল আহমেদ, আক্কাস আহমেদ, আশিক আহমেদ, সাহাব উদ্দিন, দুলাল মিয়া, আরব আলী, শামীম খান, শামীম আহমেদ, সাদ্দাম, আব্দুস সামাদ দুলাল, পারভেজ আহমেদ, জনাব আলী, নিয়াজ আহমেদ, মোতালিব, কালাম, উস্তার রাজা, জামাল আহমেদ, জাবের আহমেদ, রানা আহমেদ, টেনু মিয়া, করিম আহমেদ, রায়হান, সাজু, আশরাফুল, রাজু, সাব্বির প্রমুখ।