স্টাফ রিপোর্টার ॥
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাদৈ গ্রামের বাসিন্দা রাকিব জালালের রাজনৈতিক পরিচয় কি? এনিয়ে এখন চলছে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা। তিনি নিজেকে কখনো গণঅধিকার পরিষদ, কখনো যুবদল, কখনো যুবলীগ, আবার কখনো পলাতক সাবেক এমপি আবু জাহিরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচয় দিতেন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দল ও নেতা পরিবর্তন করায় তার এমন ডিগবাজি নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
সে নিজেকে সম্প্রতি বিএনপির সমর্থক পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। কিন্তু ইতিপুর্বের তার ফেসবুকের পোস্টে দেখা যায় তিনি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহিরের লিফলেট বিতরণ করে নৌকা ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন।
শুধু তাই নয় চব্বিশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে সক্রিয় ছিলেন বলে এলাকার অনেকেই অভিযোগ করেছেন। অনকেই বলেন ২৪ এর আন্দোলনে তিনি তার এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ৩ আগস্টে আবু জাহিরের ঢাকা মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। এ নিয়েও রয়েছে নানা সমালোচনা। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন বিষয়ে ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টি ও উত্তেজনা ছড়িয়ে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করেন এই বহুরূপী রাকিব জালাল। এমন অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাদৈ ও আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষের।
তিনি নিজেকে “৫৮ গ্রাম যুব পঞ্চায়েতের সভাপতি” হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন বলে জানা যায়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কয়েকটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে তাকে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের নির্বাচনী প্রচারণার লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায়। অপর একটি ছবিতে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আবু জাহিরকে তার সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা গেছে। অন্য ছবিতে হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলামকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বর্তমানে তিনি নিজেকে কখনো যুবদল, কখনো বিএনপি আবার কখনো গণঅধিকার পরিষদের নেতা বলে পরিচয় দিচ্ছেন। অবস্থাদৃষ্টে এমন মনে হয় যেন তিনি একজন বহুরূপী।
রাকিব জালালের রাজনৈতিক অবস্থান ও পরিচয় নিয়ে স্থানীয় মহলের সর্বত্র চলছে সমালোচনা। তার এই রাজনৈতিক দৃঢ়তা না থাকার কারণে এসব ব্যক্তিরা সময়ে-অসময়ে পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এসব জানিয়েছেন। তবে এসব নিয়ে জানতে রাকিব জালালের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।