স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের কনকারী পাড়া গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মত্তকি মিয়ার পুত্র মিনাল চৌধুরী কর্তৃক ধানকাটার মামলায় নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার এম এ বাছিতকে আসামী করায় উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় চলছে। গত ২২ নভেম্বর উপজেলার কুর্শি ও নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পূর্ব জাহিদপুর মীরা খালের বাদী বিলের উত্তর পাশে ধান কাটার সময় পুলিশ নিয়ে কোন প্রকার মামলা বা আদালতের আদেশ ছাড়াই তারই সহোদর রাহেল চৌধুরীর বর্গা চাষী পূর্ব জাহিদপুর গ্রামের মাহমুদ আলীর পুত্রের বপন করা পাকা ধান কাটতে বাঁধা দেয়। এঘটনার আইনী বৈধতা নিয়ে পুলিশ ও মিনালের লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এনিয়ে মবু মিয়া ও তার স্ত্রীয়সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় মিনাল আহমদ। উক্ত মামলাটি ২৩ নভেম্বর থানায় রেকর্ড হয়। মামলায় সিলেট অবস্থানরত সাংবাদিক এম এ বাছিতকে ১০ আসামীভুক্ত করা হয়। পারিবারিক আত্মীয়তা বা জমি সংক্রন্ত ঘটনায় কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকার পরও নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীট সোনার বাংলা মডেল হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট সাংবাদিক এম এ বাছিতকে আসামীভুক্ত করায় উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে মামলার দায় থেকে সাংবাদিক এম এ বাছিতকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান। এতে স্বাক্ষর করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মতিউর রহমান পিয়ারা, সিনিয়র সভাপতি মোঃ বায়তুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মজিদুর রহমান মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অলিউর রহমান অলি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদ আহমেদ তালুকদার। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এঘটনায় শিক্ষক ও সাংবাদিক এম এ বাছিতকে হয়রনীমূলক মামলায় আসামী করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।