স্টাফ রিপোর্টার ॥
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ ফয়সল বলেছেন-পারিবারিক ভাবেই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলাম। এখনও আছি। ভবিষ্যতেও থাকব। আওয়ামী লীগের আমলেই দেশের সংখ্যালঘুরা বার বার নির্যাতিত হয়েছে। তাদের বাড়ী-ঘর দখল ও লুটপাট করেছে। আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে। দেশে একমাত্র বিএনপিই পারবে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশের সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে। বিএনপি সর্বদা মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলেই এই দেশের সমান নাগরিক, তাই কারও মনে যেন অবহেলা, ভয় বা নিপীড়নের আশঙ্কা না থাকে এটাই বিএনপির নীতি। ৫ আগষ্ট দেশে সরকার পরিবর্তনের পর মাধবপুর-চুনারুঘাট এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী কোনো ব্যক্তি অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম বা সম্পত্তি দখলের ঘটনার শিকার হয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিদের্শে আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্কতার সঙ্গে পাশে থেকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। তারেক রহমান দেশের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য যে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত হলে দেশে সমতা, ন্যায়বিচার ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব হবে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে দেশের সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জন্য এবং ভোট দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। সোমবার সন্ধায় মাধবপুরের বেলঘর গ্রামে বিশ^মঙ্গল হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ শাহজাহান বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রক্ষায় বিএনপি অতীতেও কাজ করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফায় ধর্মীয় স্বাধীনতা, সামাজিক নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার ও সাংবিধানিক ভারসাম্য পুনর্গঠনের স্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যেখানে কেউই নিজেকে অবহেলিত বা দুর্বল ভাববে না। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতা এখলাছুর রহমান ভূইয়া, বাবুল রায় প্রমুখ।