হবিগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ শীর্ষক জেলা সুজনের গোল টেবিল বৈঠক
তারিখ: ১২-ডিসেম্বর-২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥

 সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন হবিগঞ্জ জেলা কমিটির আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় জেলা পরিষদ কনফারেন্স হল রুমে, গণতন্ত্র শক্তিশালী করণ কার্যক্রমকে সামনে রেখে  সুষ্টু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ নাগরিক ভাবনা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রথমার্ধে  সভাপতিত্ব করতে সিনিয়র সহ-সভাপতি এ এস এম মহসিন চৌধুরী এবং দ্বিতীয় অধিবেশনে সুজন হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজনের সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির সাধারণ  সম্পাদক চৌধুরী মিজবাহুল বারী লিটন এর সঞ্চালনায়, ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালিব তালুকদার দুলালের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলিপ কুমার সরকার। সম্মিলিত জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে আলোচনা সভার শুরু হয়।
নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উওরণ নিয়ে ধারণা পত্র উপস্থাপন কালে প্রধান অতিথি দীলিপ কুমার সরকার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে। কিন্তু স্বাধীনতা প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী অতিক্রান্ত হলেও সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। বরং চরম বৈষম্যমূলক একটি অগণতান্ত্রিক-কর্তৃত্ববাদী শাসন আমাদের ওপর চেপে বসেছিল। সেই অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী শাসনের অবসান ঘটে। গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের মধ্যে এই আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে যে, আর যেন কর্তৃত্ববাদী শাসনের উদ্ভব না হয়, নির্বাচন ব্যবস্থা যেন পরিশুদ্ধ হয়, গণতন্ত্র যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় সর্বোপরি ন্যায় বিচার ভিত্তিক একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রে যেন  সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুক্ত আলোচনায় বক্তাগন বলেন, দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হলে, কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানসহএকটি গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে রাজনৈতিক দলের সংস্কৃতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। রাজনৈতিক দলের সকল স্তরের নেতৃত্ব দলের সদস্যদের গোপন ভোটে নির্বাচিত করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দলের সদস্য হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। দলের সকল আর্থিক লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেল বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পরিচালনা করে, দলের আয়-ব্যয়ের অডিটেড হিসাব প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার বিধান করতে হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থী মনোনয়নে প্রত্যেক সংসদীয় এলাকায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সদস্যদের গোপন ভোটে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্তদের  থেকে মনোনয়ন প্রদানের বিধান করতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বাধীন ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমেই গনতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব।
মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, রোটারিয়ান শফিকুল বারী আউয়াল, প্রিন্সিপাল আব্দুল্লাহ আল মামুন, সুজন জেলা সহ-সভাপতি আব্দুর রকির, মীর গোলাম রাব্বানী, সাবেক কমিশনার শামসু মিয়া, প্রফেসর জালাল উদ্দিন রুমি, অ্যাডভোকেট মনমোহন দেবনাথ, অ্যাডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, আব্দুল্লাহ আবির, আতিকুল ইসলাম সোহাগ, সুজন বানিয়াচং উপজেলার সভাপতি,দেওয়ান শুয়েব রাজা, লাখাই উপজেলার সভাপতি বাহার উদ্দিন,  প্রিন্সিপাল পার্থ প্রতিম দাস, সাংবাদিক এম এ ওয়াহেদ, সাংবাদিক মামুন চৌধুরী,  সাংবাদিক এম এ রাজা, শেখ আব্দুল কাদির কাজল, সাংবাদিক বদরুল আলম, জুনাব আলী তালুকদার শামিম, আজিজুল রহমান মান্না,  সাংবাদিক শাহআলম, সাংবাদিক সামিম আহমেদ,  মীর মো: সাজন,মো রাসেল, রানা নাসির উদ্দীন,মহসিন, আহমেদ, তানবীর হুসেন, শিরিন আক্তার সোনিয়া, তানিয়া আক্তার, উর্মি আক্তার, তহোরা বেগম,ফারিহা আক্তার, শেখ সাইদুর রহমান, আফজাল আলী আহমেদ, আসিকুর রহমান, সাদিকুর রহমান জুমন, মিজানুর রহমান মিজান, পুলক রায়, প্রশান্ত কুমার দাশ, আমিনুল ইসলাম, আব্দুল বারিক অন্ত পিয়াসী দেব  প্রমুখ।