নবীগঞ্জে পুলিশ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি আসামীদের গ্রেফতার না করায় জনমনে প্রশ্ন
তারিখ: ২৩-এপ্রিল-২০১৫
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

নবীগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বাদীর বাড়ি-ঘরে হামলা, শ¬ীলতাহানির চেষ্টা ও লুটপাটের মামলায় শামীনুর, জাকির ও এমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগের প্রকাশ, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিম চৌধুরীর পুত্র গোলাম মুহিত চৌধুরী বালা মিয়ার সাথে একই গ্রামের নানু মিয়া গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ইংরেজী তারিখে বিকাল অনুমান ৫টা ৩০ মিনিটের সময় নানু মিয়ার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একদল লাঠিয়াল বাহিনী গোলাম মুহিত চৌধুরীর বাড়িতে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা, ভাংচুর ও দোকান ঘরে লুটপাট করে ১ ভরি স্বর্ণালংকার সহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা বাদী ছেলের স্ত্রী শরিফা আক্তার চৌধুরীকে লম্পটরা শ¬ীলতাহানী করে গলা, কান ও নাকের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তার আত্ম চিৎকারে গোলাম মুহিত চৌধুরীর ছেলে গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বাচ্চু (৪৫), মৃত এলেমান খাঁনের পুত্র বাদীর বেয়াই সোলেমান খাঁন (৫০) এগিয়ে আসলে আসামীগণদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র সুলফি ও রামদা দিয়ে এলোপাতারি হামলা করে গুরতর আহত করে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

এ ঘটনায় বিজ্ঞ ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত নং০৫ হবিগঞ্জে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার আসামীরা হলো ফুটারমাটি গ্রামের গজল মিয়ার পুত্র শামীনুর মিয়া (২৫), নানু মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন (২৬), মৃত হাসমত উল¬ার পুত্র নানু মিয়া (৫০), শফিক মিয়া (৫২), সুন্দর মিয়া (৫৫), নানু মিয়ার পুত্র এমরান মিয়া (২৪), শফিক মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়া (২২), সুন্দর মিয়ার পুত্র আনোয়ার মিয়া (২২), সুন্দর মিয়ার পুত্র তারেক মিয়া (১৯) সর্ব সাং ফুটারমাটি।

উক্ত আসামীদের মধ্যে শামীনুর, জাকির ও এমরান এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা করার দায়ে বিজ্ঞ আদালত প্রায় ১ মাস পূর্ব তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

কিন্তু গ্রেফতারী পরোয়ানার প্রায় ১ মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরাফিরা করেছে ও বাদীপক্ষকে নানা প্রকার প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে বাদী পক্ষ অভিযোগ করেন। আসামী শামীনুর এলাকায় বিভিন্ন অপরাদ কর্মাকন্ডের সাথে জড়িত ও কিছু দিন পূর্বে ২সন্তানের জননীকে লন্ডনী প্রবাসী স্বামীর সংসার ধ্বংস করে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে তার জিম্মায় নিয়ে আসে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, পুলিশ কেন আসামীদের গ্রেফতার করছেনা? তাদের খুটির জোর কোথায়?

প্রথম পাতা
শেষ পাতা