বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বানিয়াচং উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি হয়েছে সম্পন্ন। নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭২ জন প্রার্থী। মেম্বার পদে লড়ছেন ৭৯৫ জন আর সংরক্ষিত আসনে আছেন ১৭০জন মহিলা মেম্বার পদ প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৬৫। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৩১। চেয়ারম্যান পদে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন, ১নং ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন মিজানুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন (ধানের শীষ) ও আব্দুস সালাম ( লাঙ্গল)। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭৬৭০। ২নং ইউনিয়নে হায়দারুজ্জামান ধন মিয়া ( নৗকা), ওয়ারিস উদ্দিন খান (ধানের শীষ) ও নেছার আহমেদ সেলু (লাঙ্গল)। ভোটার সংখ্যা ১৫১১৮। ৩নং ইউনিয়নে আরফান উদ্দিন (নৌকা), মহিবুর রহমান বাবুল (ধানের শীষ), কামরুল হোসেন (দেয়াল ঘড়ি) ও সৈয়দ মসরুর আহমদ (লাঙ্গল)। মোট ভোটার সংখ্যা ১৭৮৫২। ৫নং ইউনিয়নে মোঃ লুৎফুর রহমান (নৌকা), শেখ আব্দুল হাই (ধানের শীষ) ও ছাইম উদ্দিন (দেয়াল ঘড়ি)। মোট ভোটার সংখ্যা ১৮৬৯৭। ৬নং ইউনিয়নে দিলোয়ার হোসেন চৌধুরী দিলু (ঘোড়া), এরশাদ আলী (নৌকা) ও মাইনুদ্দিন (ধানের শীষ)। ৭নং ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান (নৌকা), মোস্তফা আল হাদী (ধানের শীষ) ও ফারুক শাহ (লাঙ্গল)। ভোটার সংখ্যা ১২৬১৩। ৮নং ইউনিয়নে শাহ শওকত সেলিম (নৌকা), কামরুজ্জামান চৌধুরী (ধানের শীষ) ও মাসুদ কোরাইশী মক্কী (ঘোড়া)। ভোটার সংখ্যা ১৫৭৯২। ৯নং ইউনিয়নে আলাউদ্দিন তালুকদার (নৌকা), এরাজত মিয়া (ধানের শীষ) ও আবুল কালাম আজাদ (ঘোড়া)। ভোটার সংখ্যা ১৬২১২। ১০নং ইউনিয়নে আবুল কাশেম চৌধুরী (নৌকা), আক্তার মিয়া (ধানের শীষ) ও আব্দুর রউফ (ঘোড়া)। ভোটার সংখ্যা ১০৩৩০। ১১নং ইউনিয়নে আব্দুল আহাদ মিয়া (নৌকা), কোহিনুর আলম (ধানের শীষ) ও ছাদেকুর রহমান (আনারস)। মোট ভোটার সংখ্যা ১৬১৬০। ১৩নং ইউনিয়নে শেখ শামসুল হক (নৌকা), আব্দুর রব (ধানের শীষ) ও আব্দুল হাকিম (ঘোড়া)। ভোটার সংখ্যা ১২০৬৪। ১৪নং ইউনিয়নে সোহেল চৌধুরী (ঘোড়া), রফিকুল হক (নৌকা) ও মদু মিয়া (ধানের শীষ)। ১৫নং ইউনিয়নে ফজলুর রহমান (নৌকা), কামাল তালুকদার (ধানের শীষ) ও আনিছ আলী তালুকদার (ঘোড়া)। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে আরো অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এদিকে, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে করার জন্য প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার এর পাশাপাশি বিজিবির টহলে থাকবে। যেখানেই বিশৃংখলার খবর শুনা যাবে সেখানেই বিজিবি ও র্যাব অভিযান চালাবে। পাশাপাশি নির্বাহী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্নয়ে ভ্রাম্যমান আদালত থাকবে সক্রিয়। জেলা নির্বাচন অফিসার বেলায়েত হোসেন জানান, নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। আশাকরি সকলের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে।