বেহায়া-বেঈমানদের স্থান জনতার কাতারে হয়না ॥ বসন্তের কোকিল দলবাজ আতিকের বিরুদ্ধে শহরে বিশাল জুতা মিছিল
তারিখ: ২৩-এপ্রিল-২০১৫
দিদার এলাহী সাজু ॥

“এমপি হওয়ার বড়ই স্বাদ দলবাজ আতিকের। ৩ বার নির্বাচন করেও সেই স্বাদ মিটেনি তার। তাই সুদুর সিলেট থেকে উড়ে এসে জোরে বসেছেন হবিগঞ্জে। তার ডিগবাজী খেলা কখনই মেনে নেবে না এরশাদ সৈনিকরা। রাজনীতিতে বসন্তের কোকিল তিনি। সুবিধাবাদী এই কোকিলের ডাকে সাড়া দেবে না জনগণ। বেঈমানদের স্থান জনতার কাতারে হয় না। তারা নিক্ষিপ্ত হয় ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে। এরশাদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে বাংলার রাজনীতিতে কেউই ঠিকে থাকতে পারেনা। কারণ, এরশাদ জনতার বন্ধু, পল্লীবন্ধু। তিনি এদেশের আপামর জনতার আপনজন”। আতিকুর রহমান আতিককে আহ্বায়ক করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত পরামর্শ সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন জেলা জাতীয় পার্টির বিক্ষুব্দ নেতা-কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় বার লাইব্রেরীতে এ পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আতিকুর রহমানের আতিকের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ শহরে বিশাল জুতা মিছিল করেন বিক্ষুব্দ নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে তখন “হই-হই রই-রই, আতিক্যা চোরা গেল কই” সহ নানা শ্লোগান দেয়া হয়।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু এমপির সভাপতিত্বে ও জালাল উদ্দিন খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন-চুনারুঘাট উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তাজুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন আহমেদ বাবুল, এডভোকেট শিবলী খায়ের, বাহুবল উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সফি আহমেদ চৌধুরী, আ ফ ম উস্তার তালুকদার, নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সেক্রেটারী মাহমুদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আতাউর রহমান চৌধুরী নোমান, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শামছুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন সানু, জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান সোহাগ, জেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক রিপন আহমেদ, ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল মতিন, স্বপন আহমেদ, খলিলুর রহমান দুদু, মাসুক আহমেদ, বাহুবল যুবসংহতির সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক হেলাল মিয়া, নুরুল আমিন পাঠান, নুরুল হক তুহিন, ফারুক মেম্বার, আব্দুল খালিক, লুৎফুর রহমান, আব্দুল আউয়াল কুটি, আলী আহমেদ, ফটিক খান প্রমুখ।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, আতিক পার্টি ছেড়ে চলে যাবার সময় পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে এরশাদকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। এখন আবার বেহায়ার মত এরশাদের পায়ে “কদমবুচি” করে লাঙ্গলের কান্ডারি হতে চাইছেন। আতিক বৃহত্তর সিলেটে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করেছেন। হবিগঞ্জেও জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে এসেছেন। মাটি ও মানুষের নেতা এমপি মুনিম বাবুর প্রচেষ্টায় মাঝ পথে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল জাতীয় পার্টি। কিন্তু আবারও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন আতিক। সিলেটে নিজের এলাকার মানুষ এই আতিককে গ্রহন করেনি। নিজের আসনে ৩বার নির্বাচন করে আতিকের চরম ভরাডুবি হয়েছিল। তাই সিলেট থেকে বিতাড়িত হয়ে হবিগঞ্জে এসে নির্বাচন করেছেন। ভাড়াটিয়ার মত আস্তানা গেঁড়েছেন। হবিগঞ্জের মানুষ কোন বহিরাগতকে মেনে নেয়নি। তাই গত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে হবিগঞ্জেও আতিকের চরম ভরাডুবি হয়েছে। এই অবৈধ আহ্বায়ক কমিটিও পার্টির নেতাকর্মীরা মেনে নেয়নি। আন্দোলনের মাধ্যমে হবিগঞ্জ থেকে আতিককে আবারও সিলেট ফেরত পাঠানো হবে।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা