স্টাফ রিপোর্টার ॥
শায়েস্তাগঞ্জে পৌর এলাকার দাউদনগর এলাকার মৃত জোতিষ পালের পুত্র সুজিত পাল এর আবেদনের প্রেক্ষিতে শিখা রাণী পাল নামজারী মোকদ্দমা বাতিল করেছে বিভাগীয় কমিশনার সিলেট।
জানা যায়, চরনুর আহমদ মৌজার ৫০৮নং এসএ খতিয়ানের ৯৬৬নং দাগে আরএস খতিয়ান ৯৩৯, দাগ নং ১২২২ দোকান ঘর ব্রজনাথ পাল চৌধুরীর পুত্র অশি^নী কুমার পাল চৌধুরীর নামে জায়গা রেকর্ডভুক্ত ছিল। ভূমি প্রণব পাল পিতা ক্ষিরোধ পাল এর নামে ৭২৮নং সংশোধন খতিয়ানে রেকর্ড লিপিবদ্ধ করা হয়। তৎপর বর্ণিত খতিয়ান হতে ৯৬৬ দাগে দোকান রকম ভূমি ৭৬৪নং খতিয়ানে ৫১৭৫/১৪ইং নং নামজারী মোকদ্দমা বলে শিখা রাণী পাল স্বামী নিরঞ্জন পাল এর নামে নামজারী লিপিবদ্ধ করা হয়। উপজেলা ভূমি অফিস হবিগঞ্জ সদর কার্যালয়ে ২৩/১১/২০১৬ইং তারিখে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক অর্পিত সম্পত্তি ‘ক’ তালিকা প্রকাশিত গেজেটে বাদ পড়া তালিকা প্রেরণপত্রের প্রেক্ষিতে উপঝেলা ভূমি অফিস হবিগঞ্জ সদর রক্ষিত ভিপি নথি নং ৭১/৭৭/৭৮ইং তারিখে ভিপি বন্দোবস্ত মামলা গত ৭/২/১৭ইং তারিখে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সুজিত চন্দ্র দেব এর স্বাক্ষরে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে সুজিত পাল গত ৫/১২/২০১৯ইং সালে ‘ক’ তপশীল উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়েস্তাগঞ্জ বরাবরে নালিশা ভূমির কোন রূপ আকার আকৃতি পরিবর্তন এবং ভিপি সম্পত্তি হিসেবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে একটি দরখাস্ত দাখিল করেন। দরখাস্তের প্রেক্ষিতে তহশীলদার ২১/১/২০২০ইং তারিখে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে কোন রূপ আকার আকৃতি পরিবর্তন না করার জন্য ২য় পক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন।
গত ৩০ জানুয়ারী নিরঞ্জন পাল ও তার পুত্র সুদীপ্ত পালের নেতৃত্বে সেলিম, ফেরদৌস দোকান ঘরে কাজ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২৪/২/২০২৫ইং তারিখে সুজিত পাল জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন দাখিল করার পর তশীলদার কুতুব উদ্দিন নিরঞ্জন পাল ও তার পুত্র সুদীপ্ত পালকে নোটিশ দেন। নোটিশ পেয়ে গত ৮/৯/২৫ তারিখে সুদীপ্ত পাল তশীলদারকে ও সুজিত পালকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন যা মোবাইল ফোনে রেকর্ড রয়েছে।
পরবর্তীতে গত ৮ডিসেম্বর ২০২৫ইং তারিখে সুজিত পাল জেলা প্রশাসক বরাবরে দরখাস্ত দিলে ইউএনও শায়েস্তাগঞ্জকে তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। ইউএনও বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেন।
এরপরও নিরঞ্জন পাল শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কোন অনুমতি না নিয়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে পৌরসভার প্রকৌশলী কাজ না করার জন্য নির্দেশ দেন। এসব নির্দেশ উপক্ষো করে সে পুনরায় কাজ শুরু করলে স্থানীয় এলাকাবাসীও বাধা দেয়। রাতে সাড়ে ১১টায় দিকে নিরঞ্জন পাল ও তার পুত্র সুদীপ্ত পাল প্রতিবন্ধী অফিসের কর্মকর্তা বলে দাপট দেখিয়ে দোকানে কাজ করতে থাকে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগী।