পৌর বাস টার্মিনালের সামনে ড্রেনের উপর কালভার্ট নির্মাণের দাবিতে প্রতিবাদ সভা
তারিখ: ১-জুন-২০১৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন কয়েক’শ ব্যবসায়ী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর যাবত হবিগঞ্জ নছরতপুর বাইপাস সড়কের পৌর বাস টার্মিনাল এর পূর্ব পাশের ড্রেনটি ভেঙ্গে চলাফেরার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার ফলে ওই এলাকার শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর মালিক ও ক্রেতাগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ড্রেনের উপর নির্মানাধীন সাকো দিয়ে চলাফেরা করছে। এতে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের দুর্ঘটনা ও ঘটছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী একের পর এক অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও পৌর প্রশাসনের টনক নড়ছে না। সরজমিনে দেখা যায়, পৌর বাস টার্মিনালের পূর্ব দিকের ড্রেনের পাশে কয়েকটি ক্লিনিক ও শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রত্যেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে কালভার্ট নির্মাণ করা ছিল। পৌর কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণ ও মেরামতের অজুহাত দিয়ে ঐ সব কালভার্ট ভেঙ্গে ফেলে। কিন্তু এর প্রায় ১ বছর অতিবাহিত হলেও কালভার্ট নির্মাণ দূরের কথা ঐ এলাকার ড্রেনটি ভেঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌরসভা। যার ফলে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ক্রেতাগন সাকোর উপর দিয়ে ঝুঁকির মধ্য দিয়ে চলাফেরা করছেন। এ সব সমস্যা সমাধান না করায় এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার ব্যকস ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে ব্যক্স এর সভাপতি সৈয়দ তোফায়েল ইসলাম কামাল এর সভাপতিত্বে ও ব্যক্স এর সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম আনুর পরিচালনায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তাগন বলেন- দীর্ঘদিন যাবত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। পৌর কর্তৃপক্ষকে একের পর এক অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা। যত দ্রুত সম্ভব এ সব সমস্যা সমাধানের জন্য পৌর প্রশাসনের কাছে তারা অনুরোধ জানান। নয়তো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন ব্যবসায়িরা । প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, ব্যক্স এর সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা, সহ-সভাপতি শাহ জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক শাহ মাবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক জালাল উদ্দিন সজল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মামুন মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক কামাল খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী জিতু মিয়া, সাদাত হোসেন, আব্দুল্লাহ মিয়া, কাউছার মিয়া, হারুন মিয়া, আজগর মিয়া, স্বপন সরকার, নবীর হোসেন, শফিক মিয়া ও ওই এলাকার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা