প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ চুনারুঘাট উপজেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম খান ও চুনারুঘাট উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এর উপর মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলক মামলা ও বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন চুনারুঘাট উপজেলার নেতৃবৃন্দ। তারা পত্রিকায় প্রদত্ত বিবৃতিতে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার এর দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ৭নং উবাহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মালেক, ৩নং দেওরগাছ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফজল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাব উল্লাহ, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর মিয়া, চুনারুঘাট উপজেলা শ্রমিকদলের সদস্য সচিব শেখ মোঃ আব্দুল হাই, উপজেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহবায়ক, আব্দুল্লাহ, রাসেল মিয়া, আক্কাছ আলী, মোঃ ফুল মিয়া, আলতা মিয়া, চুনারুঘাট পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মীর হোসেন, সদস্য সচিব কাউছার খান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সুমন মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মওদুদুল হাসান রাজলু, সদস্য জুবায়ের আহমেদ, চুনারুঘাট পৌর যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আউয়াল, যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম, পৌর কৃষকদলের আহবায়ক শফিক মিয়া, চুনারুঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্য সাইফুল ইসলাম, ১০নং মিরাশী ইউনিয়ন যুবদল নেতা এনামুল হক, শ্রমিকদল নেতা আতাউর রহমান (ফকির দুলাল), আব্দুল খালেক, শামীম মিয়া, ইছুফ আলী, ওয়াহিদ মিয়া, ইউনুছ আলী, শফিক মিয়া প্রমূখ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন বন বিভাগের কমকর্তা সৈয়দ আশিক মিয়া ওরফে তাউজ চুনারুঘাট উপজেলার বরআব্দা গ্রামের বাসিন্দা। ৯০ দশকে চুনারুঘাট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের একজন ক্যাডার ছিলেন। তার পিতা আওয়ামী লীগের একজন কর্মী এবং সাবেক এমপি এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, সাবেক পিপি আকবর হোসেন জিতু ও চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের দালাল ছিলেন। বন কর্মকর্তা আওয়ামী দুসর হওয়া সত্ত্বেও ওই অফিসে বহাল তবিয়তে থেকে আয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার গভীর ষড়যন্ত্র করছেন এমনকি বিএনপিকে বিতর্কিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্রের লিপ্ত রয়েছেন। যার ফলে সে শ্রমিকদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম খান ও যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রাণী করছেন।
এদিকে ডেপুটি রেঞ্জার সৈয়দ আশিক বিগত দিনে বন বিভাগের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। তার অপকর্মের কারণে একাধিকবার বরখাস্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে পূজি করে মোটা অংকের টাকা খরচ করে পুনরায় সে একই অফিসে বহাল হয়। এরপর থেকে তার ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। এতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রাণী করে আসছে।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন জাহাঙ্গীর আলম খান একজন স্বজ্জন ব্যক্তি। পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার চুনারুঘাটে সুনাম রয়েছে। কিন্তু বনকর্মকর্তা সৈয়দ আশিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করার জন্য বিএনপি ঘরনার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। আমরা তার অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবি জানাই। অন্যথায় চুনারুঘাটবাসীকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।
এছাড়াও চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মারুফ আহমেদসহ অনেক নেতৃবৃন্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মিথ্যা ষড়যন্ত্রমুলক মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিছেন।