জাকারিয়া চৌধুরী/
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে পুলিশের মূহুর্মুহু গুলি-টিয়ারশেলের বিপরীতে বুক চিতিয়ে নির্ভীকভাবে লড়াই করে গেছিলেন সালেহ আহমদ। হবিগঞ্জ শহরের তিনকোনা পুকুর পাড় এলাকায় ২০২৪-এর ৪ আগস্ট আন্দোলনের সময় পেটে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সে সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় কিছুটা সুুস্থ হয়ে উঠলেও আবারো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। কয়েকবার অস্ত্রোপচারের পরও তার পেট থেকে সব গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। ফলে ক’দিন পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অর্থ অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার পরিবার। সহায় সম্ভল যা ছিল সব বিক্রি করে ইতোমধ্যে নিস্ব হয়ে গেছে পরিবারটি।
এরই মধ্যে বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অসহায় পরিবারটির পাশে দাড়ালেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জুলাই যোদ্ধা সালেহ আমদের সন্তানের হাতে তুলেন আর্থিক সহায়তা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সাংবাদিক ফয়সল চৌধুরী ও সহিবুর রহমান। এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন- জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকে আমরা স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদ মুক্ত ও উন্নত বৈষম্যহীন সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি। সালেহ আহমেদ একজন জুলাই যোদ্ধা। সে বর্তমানে সিলেটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয় একটি পত্রিকায় সংবাদটি দেখে আমি তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামান্য হলেও আর্থিক সহায়তা করেছি। জেলা প্রশাসক বলেন- আমরা সবসময় জুলাই যোদ্ধাদের পাশে আছি এবং থাকব। তিনি বলেন- প্রয়োজনে আমরা সালেহ আহমদের চিকিৎসার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করব।
জুলাই যোদ্ধা সালেহ আহমদ হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকার বাসিন্দা। সে হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের এই নেতা। প্রসঙ্গত- গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সংকটাপন্ন অবস্থায় সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজে তাকে ফের ভর্তি করা হয়েছে।