আখলাছ আহমেদ প্রিয় ॥ আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, বাঙালীর মুুক্তি ও আনন্দের দিন। যা বাঙালী জাতির ইতিহাসে এক সুমহান মর্যাদা ও গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালী পেয়েছিল মুক্তির স্বাদ। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে বাঙালী অর্জন করেছিল লাল-সবুজের পতাকা। মুক্তিযুদ্ধের যৌথ নেতৃত্ব ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের যে প্রেরণা স্বাধীনতার ভিত্তি-তারই প্রথম রণকৌশল নির্ধারণের মহামিলন ঘটেছিল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া চা বাগান বাংলোতে। ইতিহাসের এই দিনটি বরণ করে নিতে প্রতিবছরের মত এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন। এদিকে, বিজয়ের রঙে সেজেছে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সরকারী ভবন। এ দৃশ্য যেন এক রঙের মেলা। বিজয় রয়েছে মানুষের হৃদয়ে, এর প্রমান দিচ্ছে ওই রঙের আলোকসজ্জ্বা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, হবিগঞ্জ পৌরসভা ভবন, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, ২৫০ শয্যা জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনসহ বিভিন্ন দপ্তর সাজানো হয়েছে ঝিলিক-মিলিক বাতিতে। সন্ধ্যা নামতেই সেই লাল-সবুজের রঙের আভা ছুঁয়ে যায় বিশাল সব অট্টালিকায়। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি বরণ করে নিতে আজ শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও দিনটিতে বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাও প্রদান করা হবে। শহরের নিমতলা (কালেক্টরেট প্রাঙ্গন) সূর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করবে জেলা প্রশাসন। একই সময় জেলার সকল সরকারী, আধা-সরকারী এবং বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। একই সময় দূর্জয় হবিগঞ্জ, মুক্তিযোদ্ধা নামফলক, মুক্তিযোদ্ধের সেকেন্ড ইন-কমান্ড মরহুম মেজর জেনারেল আব্দুর রব বীর উত্তম, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এর কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, সেক্টর কমান্ডার মরহুম সি.আর দত্ত স্বরণে কালিবাড়ি মন্দিরে প্রার্থনা সভা, সকাল ৯ টায় জালাল স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন। সকাল ১১ টায় জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনা টিকিটে স্থানীয় শিশু পার্ক দর্শনের সুযোগ। এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে হাসপাতাল, জেল খানা, এতিম খানা ও শিশু পরিবারে উন্নত খাবার সরবরাহ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।