জেলার ১০ সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত
তারিখ: ৩-ডিসেম্বর-২০২৫
আখলাছ আহমেদ প্রিয় ॥

 জেলার ১০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এর ফলে আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় ফিরছেন তারা। সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জের ১০টি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষায় আজ অংশ নিচ্ছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয় এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাসমাশিস ঘোষিত কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বার্ষিক পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল, তা অনুধাবন করে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ও তাদের শিক্ষাজীবনকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনা অন্যতম দায়িত্ব। তাই আজ ৩ ডিসেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে ন্যায্য দাবি-দাওয়া সমাধানের পথে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ কামনা করা হয়। 
জানা যায়, সারাদেশের ন্যায় জেলার ১০ বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করেন। এর ফলে গত দুই দিন হবিগঞ্জ শহরের বিকেজিসি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ জেলার ১০টি বিদ্যালয়ে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারেননি। বিকেজিসিতে ৩য় থেকে ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকদের কর্মবিরতি থাকায় স্থগিত থাকে। একই সাথে চলমান ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষাও বন্ধ রাখা হয়। 
শিক্ষকদের দাবী গুলো ছিল, ১. সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের’ গেজেট প্রকাশ, ২.বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা, ৩. সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া ও ৪. ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ। 

প্রথম পাতা